বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কোভিড কালীন সবার আগে ভ্যাকসিন উৎপাদনে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। এই প্রতিযোগীতায় রয়েছে , চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ। চীন ইতিমধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের এই প্রস্তাবে সারা দেয়নি। কিন্তু ভ্যাকসিনের আন্তর্জাতিক ট্রায়াল যেকোন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে তার বাণিজ্যিক বিপননের ক্ষেত্রে। ভারত প্রতিবেশি দেশ হিসাবে বাংলাদেশকেই এক্ষেত্রে পাশে চাইছে।
[৩] বিশ্বের অন্যতম ভ্যাকসিন জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট তাদের জরিপে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের শতভাগ জনগণ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে আগ্রহী। ইউরোপ আমেরিকা ও চীনে এই হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অন্যতম সঙ্গি পাকিস্তান এই ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে পিছিয়ে ৫০ শতাংশ। সেখানে ভ্যাকসিন বিরোধী বিশাল জনগোষ্ঠি রয়েছে।
[৪] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছেন, ভারতের ভ্যাকসিন আগামী ২ /১ মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে। এরপরই ভ্যাকসিন পরিচালনা সংস্থার এক্সপার্ট গ্রুপের সদস্য ড. বিকে পল জানান,৫টি সংস্থা ভারতে ভ্যাকসিন উৎপাদনে রয়েছে। এরমধ্যে এগিয়ে রয়েছে হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক, তারা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্যায়ের জন্য প্রস্তুত। এরপরে রয়েছে অক্সফোর্ড এ্যাস্ট্রোজেনের সঙ্গে অংশিদারিত্বের পুনার সিরাম ইনস্টিটিউট। এরপরে রয়েছে ভারত ক্যাডিলা।
আপনার মতামত লিখুন :