রাশিদুল ইসলাম : [২] সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষের শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেন ঢুকলে এধরনের অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কোষ অ্যান্টিবডি তৈরি করে। প্রতিরোধ শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে এই টি-কোষ। মৃদু কোভিড সংক্রমণেও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে মানব শরীরে। সেল সাইন্স জার্নাল
[৩] কোভিডকে আটকাতে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি এবং টি-কোষকে জাগিয়ে তুলতে হবে, এমন দাবিই করছেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিনের কাজও হবে এটাই। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। পাশাপাশি টি-কোষ সক্রিয় হয়ে ‘অ্যাডাপটিভ ইমিউন রেসপন্স’ তৈরি করেছে।
[৪] টি-কোষ বা টি-লিম্ফোসাইট কোষ তৈরি হয় হেমাটোপোয়েটিক স্টেম কোষ থেকে। অস্থি মজ্জায় তৈরি হয়ে চলে আসে থাইমাসে। সেখানেই বড় হয়। মানুষের জন্মের পর থেকে মৃত্যু অবধি, এই টি-কোষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর নিজস্ব রিসেপটরের কাজ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রামক প্যাথোজেনকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করা।
[৫] বিজ্ঞানী মার্কাস বাগের্ট বলেছেন, টি-কোষ সক্রিয় হওয়ায় ভাইরাল প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছে শরীর। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে না, রোগীও চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দিচ্ছে।
[৬] সুইডেনের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৩ জন কোভিড রোগীকে পরীক্ষার পর দেখা গেছে, প্রত্যেকের সংক্রমণ মৃদু অথচ শরীরে সক্রিয় টি-কোষ। প্রত্যেকের শরীর নিজেই ভাইরাসকে চিনে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য ভাইরাসকে জব্দ করার উপায় খুঁজে নেবে শরীর। ভবিষ্যতে এমন ধরনের ভাইরাস শরীরে ঢুকলে তার আগাম ব্যবস্থা করাই থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :