সাদেক আলী: [২] কাগজ বা প্লাস্টিকের কাপে চা পান বর্জন করুন, না হলে বাধা পেতে পারে মস্তিকের গঠন। দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব মত সমস্যা। অফিস ফেরত ক্লান্ত কাটাতে বা পথ চলতে হঠাৎ করে আলতে করে চায়ের কাপে চুমুক কলকাতার লোকেদের অনেক দিনের অভ্যাস। কলকাতা এখনো বলছে চায়ের ক্ষেত্রে মাটির ভারের আমেজি আলাদা, তবে রাস্তাঘাটে উপায় না থাকায় চুমুক দিতে হয়, কাগজ বা প্লাস্টিকের কাপে। নিউজ বাংলা
[৩] চা প্রেমী, রামানুজ মল্লিক বলেন, আমি পেপার করি মাটির ভারে চা খাওয়া, মাটির ভারে চা খাওয়া স্বাদ আলাদা।
[৪] চা- প্রেমী, রত্নজিৎ দাস বলেন, যেখানো অপশন থাকে না সেখানো চা টা মেইন হয়ে দাড়ায়, তখন কাগজের কাপে এডজাস্ট করে নিতে হয়।
[৫] মাটির ভারের উৎপাদন কম, দামও বেশি, তাই প্লাস্টিক বা কাগজের কাপ ক্ষতিকারক জেনেও চা বিক্রেতারা ব্যবহার করছে। একি জিনিস একটা মাটির ভারে আকেরটা কাগজের কাপে। মাটির ভারের টা চা, কাগজের টা বিষ, কাগজের কাপেও থাকছে প্লাস্টিকের প্রলেপ, দেয়া হচ্ছে না মোমের প্রলেপ। প্লাস্টিকে গরম চা ঢাললে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তৈরি হয় ‘ বিসফেনল এ’, বিসফেনল এ থাইরয়েড হরমোনকে বাধা দেয়, বাধাপ্রাপ্ত হয় মস্তিকের গঠন। গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত থেকে ‘ বিসফিনোল এ’ যায় ভ্রুণে, নষ্ট হয়ে যেতে পানে ভ্রুণ দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব, শিশু বিকলাঙ্গ হতে পারে।
[৬] অধ্যাপক, প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, যত পাতলা প্লাস্টিক হয় তত আমাদের শরীরের ক্ষতি করে বেশি।
[৭] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাস্টিক বা কাগজের কাপ এড়িয়ে চলুন।
[৮] চা খান তবে কাগজের বা প্লাস্টিকের কাপে নয়, অবশ্যই মাটির ভারে বা কাচের গ্লাসে। নিজেও ভালো থাকুন পরিবেশকে ভালো রাখুন।
আপনার মতামত লিখুন :