শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৫১ সকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২০, ০৬:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বগুড়ায় মিলল ৬০০ বছরের পুরনো মসজিদ, এখনো চকচক করছে ভেতরটা 

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রতিনিয়তই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ সব নিদর্শনের সন্ধান মিলছে। ঠিক তেমনি এদেশের আনাচে-কানাচেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন নিদর্শন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ৬০০ বছরের পুরনো এক মসজিদের সন্ধান মিলেছে বগুড়ায়। গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউপির বাইগুনি মধ্য সাইড়পাড়া (প্রামানিক পাড়া) গ্রামের পশ্চিমের একটি বাঁশ ঝাড়েই এই মসজিদটির অবস্থান। বিশাল বাঁশঝাড়ের মধ্যে থাকায় মসজিদটি এতোদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল।

তবে এই মসজিদটি কে কবে নির্মাণ করেছেন, তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে এর নির্মাণশৈলী জানান দেয়, এটি মুঘল আমলে বা সম্রাট বাবরের আমলের হতে পারে। সেটি প্রায় ৬০০ বছর আগেকার কথা। মসজিদটিতে একটি দরজা ও একটি জানালা রয়েছে। তবে তাতে কোনো পাল্লা বা গ্রীল নেই। ১৬ ফিট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের মসজিদটির উচ্চতা প্রায় ১৮ ফিট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদ চুন সুরকি দিয়ে নির্মিত হয়েছিল বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

দুই ইঞ্চি প্রস্থ ও ১০ ইঞ্চি লম্বা পোড়া মাটির ইটের ২০ ফিট দেয়ালের প্রাচীর রয়েছে মসজিদে। দরজা ও জানালার উচ্চতা পাঁচ ফিট প্রস্থ দুই ফিট ফাঁকা দিয়ে মসজিদে মুসুল্লিগণ ভিতরে প্রবেশ করতো। মসজিদের ভেতরে ঈমামসহ ১১ জনের মুসুল্লি নামাজ পড়ার মতো জায়গা রয়েছে। মসজিদের ভেতরে ছোট্ট একটি মেহরাব দেখা যায়। মসজিদের দেয়ালের চারপাশের কোণায় কারুকার্য চোখে পড়ছে এখনো। বাহিরের দেয়ালে পোড়া মাটির ইটগুলো কিছু কিছু অংশ ক্ষয়ে গেলেও মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করলে এখনো এর সৌন্দর্য জানান দেয়।

মসজিদের ভেতরে উপরের দিকে গম্বুজের ইট ও দেয়াল এখনো চকচক করছে। যেন মাত্র কিছুদিন আগেই তৈরি করা হয়েছে এটিকে। পাতলা আবরনের প্লাস্টার দেখা যায় মসজিদের দেয়ালের গোড়ার দিকে। তবে কোনো সাল, তারিখ বা কোন শাসকের আমলে এটি নির্মাণ হয়েছে তার কোনো নাম ফলক দেখা যায়নি। সরকারি খাস খতিয়ানে তিন শতাংশ জমিতে মসজিদ অবস্থিত। অযত্ন আর অবহেলায় মসজিদটির গায়ে ও গম্বুজে শ্যাওলা ও বিভিন্ন আগাছা জন্মেছে।

মসজিদের সীমানা ঘেঁষেই থাকেন আব্দুল বারি ভুলু। তিনি জানান, বিশাল বড় এই বাঁশঝাড়ে সচরাচর কেউ যায় না। এজন্যই মসজিদটি সবার অগোচরেই ছিল। অতীতের বেশ কিছু ঘটনার রহস্য এবার আমরা উন্মোচন করতে পেরেছি। আমাদের ধারণা এই মসজিদে মানুষ নামাজ না পড়লেও হয়তো সেখানে জ্বীনেরা নামাজ পড়ে। আব্দুল বারি আরো জানান, আমরা কখনো টের পায়নি বাঁশঝাড়ে মসজিদ রয়েছে। ২০ বছর আগে এই বাঁশঝাড়ের পাশেই তিনি বাথরুম তৈরি করেন। এক রাতের মধ্যেই তা আগুনে পুড়ে যায়। তবে এই ঘটনাটি কীভাবে ঘটে তা আমাদের জানা ছিল না।

এরপর ভয়ে আর বাঁশঝাড় সংলগ্ন স্থানে কেউ যেত না। পরবর্তীতে সেখান থেকে বাথরুম সরিয়ে অন্যত্র নির্মাণ করেন তিনি। এমনকি ওই স্থানের আশেপাশে কাপড়সহ যেকোনো জিনিস শুকানোর জন্য দেয়া হলে তা গায়েব হয়ে যেত। কাপড়গুলো কয়েকদিন পর টুকরো টুকরো ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যেত। তা থেকে বোঝা যায় এখানে জ্বীন বসবাস করছে। তবে জ্বীন কারো বড় ধরনের ক্ষতি করেনি। মসজিদটি দেখতে এলাকায় প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছে।

আব্দুল হান্নান প্রাংসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, এই মসজিদটি কবে নির্মাণ হয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারেনি। তারা শুনেছেন প্রায় ৬০০ বছর আগে এখানে মসজিদটি নির্মাণ হয়ে থাকতে পারে। সম্প্রতি বাঁশঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়েই এই মসজিদের সন্ধান মিলেছে। এরপর থেকে অনেকেই প্রাচীন এই মসজিদটি দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন। এই বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালমা আক্তার লিজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা সরজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে মসজিদটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়