বিপ্লব বিশ্বাস : [২]পিরোজপুরের সাত উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্ট সেণ্টার। অভিযোগ রয়েছে বেশীর ভাগ ক্লিনিক এর নেই কোন লাইসেন্স। সেবার মান যেমন খারাপ তেমনি নেয়া হয় অতিরিক্ত টাকা। ভূয়া চিকিৎসদের চিকিৎসার কারণে মৃত্যুরও খবর পাওয়া যায় অহরহ।
[৩]জানা গেছে, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বহুল আলোচিত লাবন্য ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগের কারণে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযোগে রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়াল ঘেষে অবৈধভাবে কোন প্রকার লাইসেন্স বিহিন ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল। বিভিন্ন মাধ্যমের খবরে গত ১৭ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমুহ) ডাঃ মোঃ ফরিদ হোসেন মিজ্ঞা। তার সাক্ষরিত অফিস আদেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যাবস্থা নিতে বলে।
[৫]এর আগে এক অভিযোগে বলা হয়,সরকারি সকল বিধি নিষেধ অমান্য করেই ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়াল ঘেষে। দির্ঘদিন অদৃশ্য ক্ষমতাবলে লাবন্য নামের এই অবৈধ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিকের রমরমা ব্যাবসা করে আসছেন ভান্ডারিয়া নিবাসী ততকালীন (১৯৭১সাল) পিচ কমিটির সেক্রেটারি মরহুম আশরাফ তালুকদারের পুত্র উজ্জল তালুকদার।
[৬]অভিযোগকারী লিটন পেশকার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,সচিব মহোদয়,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়, রিচালক,দুর্নীতি দমন কমিশন এর মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় এবং বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবরে ওই ভুইফোর লাইসেন্স বিহিন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে আবেদন করেন। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুর করে ম্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৭] সম্প্রতি জেলার মঠবাড়িয়া, ধানিসাপা এলাকায় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত “মাছ মোস্তফা” নামে একজন ভূয়া চিকিৎসককে আটক করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে মঠবাড়িয়ায় মাছের আড়তদারি করে তৈরী করেছেন মহিমা নামে একটি ক্লিনিক। অনুমতি ছিলনা সংশিষ্ট কোনও দপ্তরের। সেই ক্লিনিক এ “মাছ মোস্তফা” নিজেই করতো সিজারসহ অন্যান্য অপরেশন।
[৮]এ ছাড়া সাফায় হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনিষ্টক সেণ্টারে অভিযান চালিয়ে র্যাব ভূয়া চিকিৎসক আমির হোসেন ভূইয়াকে গ্রেপ্তার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়। এছাড়া মঠবাড়িয়ায় মাহিমা ক্লিনিক এ অভিযান চালিয়ে গোলাম মোস্তফা নামে এক ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :