ডেস্ক রিপোর্ট : উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিদ্রোহী সেনাদের হাতে আটক হওয়ার পর বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
বিবৃতিতে কেইতা বলেন, ‘নিজেকে ক্ষমতায় রাখতে আমি রক্ত ঝরাতে চাই না।’ ‘আজ সেনাবাহিনীর কিছু অংশ মনে করছে হস্তক্ষেপ জরুরি। আমার কি সত্যি অন্য কোনো উপায় আছে? এখন থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলাম।’
বেতনভাতাসহ সরকারের নানা ‘দুর্নীতির’ প্রতিবাদে কয়েক মাস ধরে মালিতে বিক্ষোভ করছিলেন সেনারা। মঙ্গলবার নাটকীয়ভাবে হঠাৎ তারা রাজধানীর পাশের একটি শহরে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টকে আটক করেন।
কেইতা ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন। এরপর অর্থনৈতিক দুরবস্থার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রক্ষণশীল ইমাম মাহমুদ ডিকোর নেতৃত্বে সামনে আসে নতুন একটি বিরোধী জোট।
সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে কি না, সেটি এখনো জানা যায়নি। গত কয়েক মাসে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও আস্থা হারান ৭৫ বছর বয়সী কেইতা। নির্বাচনে ‘কারচুপির’ প্রতিবাদে সেই মে মাস থেকে মানুষ রাস্তায় নামতে থাকে।
মালিতে এর আগে ২০১২ সালে বড় ধরনের বিদ্রোহ হয়। সেই সময় থেকেই দেশটিতে জিহাদিদের প্রভাব বাড়তে থাকে। শুরু হয় সাম্প্রদায়িক সমস্যা। মালির তিন প্রতিবেশী দেশ আলজেরিয়া, নাইজার এবং মৌরিতানিয়াও কয়েক বছর ধরে একই সমস্যায় ভুগছে।
আপনার মতামত লিখুন :