আহসান হাবিব: পুরুষের চোখ দুটি, মানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দুরকমের, নিজের নারীর প্রতি একরকম, অন্য নারীর প্রতি আর একরকম। নিজ নারীকে সে দেখতে চায় এমন পোষাকে যাতে তার শরীরের কোন অংশ অনাবৃত না থাকে, আবার এই পুরুষই অন্য নারীকে দেখতে চায় খোলামেলা। স্লিভলেস নারী এদের খুব পছন্দ, শাড়ির ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে পড়া নাভিমূল দেখার জন্য এরা উতলা হয়ে ওঠে, আর ক্লিভেজ দেখার জন্য এরা এমন পাগল হয়ে ওঠে যে তা অশ্লীলতার পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। পিনোন্নত স্তন দেখা এদের প্রাত্যহিক কাজ, এটা না দেখলে তাদের ভাত হজম হয় না। তবে এটা ভালো কারণ সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, নারীর স্তন নিয়মিত দেখলে নাকি পুরুষের বয়স বাড়ে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই স্তন কিন্তু নিজের নারীর নয়, অন্য নারীর।
আসলে যে নারী কারো নিজের সে আবার অন্যের কাছে অন্য নারী। নিজ নারীর পোশাক সামান্য এদিক সেদিক হলে পুরুষ চোখ রাঙায়, কিন্তু এই নারী সব সময় তার কথা শুনবে কেন, সে ঠিকই অন্যের দেখাযোগ্য নারী হয়ে বাইরে বেরোয় এবং সত্যিকার অর্থে তখন নিজের নয়, অন্য হয়ে ওঠে। সব নারী তখন অন্য নারী। মজার বিষয় নারী কিন্তু জানে পুরুষ কী চায়। তারা সেরকম পোশাক পরেই বাইরে বেরিয়ে আসে, পুরুষ তাদের দেখে এবং তৃপ্তি পায়। সমুদ্র তটের পোশাক বিকিনি পরে যদি কোনো নারী শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ঘুরে, পুরুষ গেলো গেলো রব তোলে বটে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে তা উপভোগ করে, নারী এসব জানে।
পুরুষের এসব আচরণ কোথা থেকে পায়? পায় পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদী বোধ থেকে। নারীবাদ এই পুরুষতন্ত্রের বিরোধিতা করে, কিন্তু মজার বিষয় পুরুষতন্ত্র যা দেখে মজা লুটে, বিরোধিতার নামে নারীবাদ সেটাই করে, তারা শরীরের স্বাধীনতা চায়, পোশাকের স্বাধীনতা চায়, আরও অনেক কিছু চায় । তাদের এই চাওয়া মানেই কিন্তু খোলামেলা পোশাক, বিড়ি খাওয়া, যাকে ইচ্ছা হবে তার সংগে সঙ্গমে যাওয়া, চুমু খাওয়া ইত্যাদি আর এসব করার মধ্য দিয়ে নারী তার স্বাধীনতার নামে পুরুষকে তৃপ্ত করতে থাকে। তাহলে কী দাঁড়ালো? নারীবাদ স্বাধীনতার নামে যা করে তা পুরুষতন্ত্রের খুব প্রিয় বিষয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :