সিরাজুল ইসলাম: [২] নেদারল্যান্ডসের হেগে জাতিসংঘ সমর্থিত স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ফর লেবানন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। বিচারক ডেভিড রি ২ হাজার ৬০০ পৃষ্ঠা রায়ের সারাংশ পড়েন। রয়টার্স
[৩] উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আদালত অপর তিন অভিযুক্ত আসাদ সাবরা, হাসান ওনেইসি ও হাসান হাবিব মেরহিকে খালাস দিয়েছেন। অভিযুক্ত চারজনের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালানো হয়। আলজাজিরা
[৪] আয়াশের আইনজীবী তার মুক্তি দাবি করে বলেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়- এমন প্রমাণ নেই। এ সময় আদালত বলেন, তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ রয়েছে।
[৫] ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বৈরুতে প্রধানমন্ত্রী রফিক আল-হারিরির গাড়ি বহরে ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। এতে তিনিসহ ২২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০০ জন। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরিকল্পনার জন্য দায়ী করা হয় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহকে। তবে আদালত এ হত্যাযজ্ঞে সংগঠনটির সম্পৃক্তা পায়নি। এ হামলায় সিরিয়ার হাত থাকতে পারে বলেও মনে করা হয়। রফিক আল-হারিরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বাবা।
[৬] বিচারক ডেভিড রে বলেন, সেটা একটা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিলো। এর উদ্দেশ্যে ছিলো মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করা। এ ধরনের কাজ করতে পারে কেবল প্রখর বুদ্ধি সম্পন্ন গোষ্ঠী। এ জন্য দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করেছে তারা। এটা সুপরিকল্পিত হামলা। সামরিক বাহিনীর আরও নির্ভুলতা প্রয়োজন ছিলো। সিএনএন
[৭] বিচারক জানেত নসওয়ার্থি বলেন, আয়াশের ফোন রেকর্ড প্রমাণ করে- তিনি হামলাকারীদের সঙ্গে যুক্ত।
[৮] লেবানন কর্তৃপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সাদ হারিরি বলেন, তিনি রায়ে খুশি। দোষীদের বিচার হোক- এটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :