শরীফ শাওন: [৩] যাত্রীদের অভিযোগ, রাজধানীর সকল রুটেই অধিকাংশ গণপরিবহনে অরাজকতা চলছে। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধির নামে বাড়তি ভাড়ার জায়গায় নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। প্রথমদিকে স্যাভলন পানির ব্যবস্থা রাখলেও এখন তার বালাই নেই। একটি করে আসন ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও তা নির্ভর করে যাত্রীসংখ্যার উপর।
[৪] যাত্রী আব্দুল হাকিম বলেন, হাতিরপুল থেকে স্মার্ট উইনার বাসে উঠার সময় কোন ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা পাইনি। সকল সিটেই যাত্রী বসা ছিল। দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হয়েছে ।
[৫] আরেক যাত্রী তাপসী রাবেয়া বলেন, ট্রান্সিলভা পরিবহনে ধানমন্ডি থেকে মৎসভবন পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাড়া ১৫ টাকা। ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির নির্দেশনা থাকলেও তারা ৪০ টাকা ভাড়া রেখেছেন।
[৬] বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, কোভিড-১৯ সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
[৭] ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, যাত্রীদের চাপ বাড়ার সঙ্গে কিছু লোকাল বাস, সিটিং সার্ভিস ও দুরপাল্লার বাসগুলোতে অনিয়ম দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকটি আলোচনা হয়েছে এবং প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। নির্দেশনা দিলেও দেশের বাসগুলোকে পাহারা দিয়ে রাখা অসম্ভব। কিছু যাত্রী জোর করে বাসে উঠেন। স্বাভাবিক নিয়মে ফিরতে সরকারকে চিঠি দিয়েছি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :