সোহাগ হাসান: [২] এবারই প্রথম পরীক্ষা মূলকভাবে পান চাষ করে সফল হয়েছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান। প্রায় ৩ বছর চেষ্টার পর পান চাষ করায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মাঝে। ইতিমধ্যে অনেকেই আগ্রহী হয়েছেন পান চাষে। অনেকেরই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এখানে। পান চাষে আগ্রহী কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
[৩] জানা যায়, ২০১৭ সালে আতাউরের এক নিকট আত্মীয়র বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে পানের চাষ আবাদ দেখে অনুপ্রানিত হয়ে তার সহযোগিতায় রাজশাহী থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকায় ৪ হাজার পানের চারা কিনে এনে ১০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ তৈরি করেন। পর পর দুবার বেশীরভাগ চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন আতাউর।
[৪] পরে বন্ধুদের সহযোগীতায় আবারও শুরু করেন পান চাষ। নানা চেষ্টার পর অবশেষে সফলতা পান তিনি। খরচ দ্বিগুণ হলেও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় লাভের আশা করছেন তিনি। এরই মধ্যে তার বরজের পান পাতা বড় হয়েছে। বিক্রিও শুরু করেছেন।
[৫] এ বিষয়ে পান চাষী আতাউর রহমান জানান, ২ বার ক্ষতির পরেও ১০ শতাংশ জমিতে পান চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকার মতো। এরই মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন। প্রতি সপ্তাহে ৩ হাজার টাকার পান বিক্রি করছেন। পান চাষের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে পান গাছের লতা বাড়তী হলে আবার সে লতা গুলো মাটিতে ঢেকে দিতে হয় এখন সেই প্রস্ততি চলছে। এ বাগান থেকে প্রতি বছর দেড় ১ লাখ টাকার পান বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।
[৬] স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, পান অর্থকড়ি ফসল হলেও এতদিন এর চাষাবাদ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না অনেক কৃষকের। কিন্তু আতাউরের পান চাষে যে সফলতা দেখা যাচ্ছে তা দেখে এলাকার কৃষকেরা পান চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
[৭] এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার রুস্তম আলী জানান, উপজেলায় পান চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নানা ফসল বৈচিত্রে ভরপুর সিরাজগঞ্জে কৃষক আতাউরের হাত ধরে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে পান চাষ সম্প্রসারিত হোক এমন প্রত্যাশা সবার। পান চাষে উদ্যোগী চাষিদের সবধরণের সহযোগিতা দিতে কৃষি বিভাগ প্রস্তত বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা: সাদেক আলী