রাশিদ রিয়াজ : [২] চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিল। এ বছর বরং তাইওয়ানের কাছে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান বিক্রি। সিএনএন
[৩] তাইওয়ানকে চীন অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। গত শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয় তাইওয়ানের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে মার্কিন সামরিক রফতানির অংশ হিসেবেই এসব জঙ্গি বিমান বিক্রি চূড়ান্ত করা হয়। এক বছর আগে তাইওয়ানের প্রশাসনের সূত্র উল্লেখ করে তাদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে এধরনের জঙ্গি বিমান সরবরাহ করা হবে। আরো ২৪টি এফ সিক্সটিন জঙ্গি বিমান মরক্কোর কাছে ২০২৬ সালের মধ্যে বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড কোম্পানি এফ সিক্সটিন জঙ্গি বিমান তৈরি করে। সত্তরের দশকে মার্কিন বিমান বাহিনী এ ধরনের জঙ্গি বিমান ব্যবহার শুরু করে। এ বিমানটি একটি ইঞ্জিন চালিত ও আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। ডেমোক্রেটিক রিপ্রেজেন্টিটিভ এলিয়ন এঞ্জেল ও রিপাবরিক রিপ্রেজেন্টিটিভ মাইকেল ম্যাককাল এক যৌথ বিবৃতিতে তাইওয়ানের কাছে এফ সিক্সটিন জঙ্গি বিমান বিক্রিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে চীনের কাছে কড়া বার্তা হিসেবে অভিহিত করেন। গত চার দশকের মধ্যে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে অ্যালেক্স আজার সম্প্রতি তাইওয়ান সফল করেন।
[৫] সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ স্কুল অব পাবলিক পলিসি’র প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ড্রিউ থমসন বলেন তাইওয়ানের কাছে এফ সিক্সটিন বিমান বিক্রি চূড়ান্ত করার বিষয়টি উস্কানির চেয়েও আরো বেশি পদ্ধতিমূলক প্রক্রিয়া যা চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে উত্তেজনা ও বিরোধ আরো বৃদ্ধি করবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বিশ্লেষক পিটার লেটন মনে করেন তাইওয়ানের কাছে এ বিমান বিক্রি বরং উত্তেজনা প্রশমন বা ভারসাম্যমূলক। কিন্তু চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন তাইওয়ানের কাছে এফ সিক্সটিন বিমান বিক্রি বেইজিংয়ের নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতিকূলে এবং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।