লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড অতিমারির কারণে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিমান চলাচল বন্ধ আছে মার্চ মাস থেকে। বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের একই সময় বন্ধ হয় আকাশ পথে যাতায়াত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত করেছে বর্ডার। তিনটি শর্ত পালন করে সেদেশে যেতে হবে বাংলাদেশী নাগরিকদের। তবে এখন পর্যন্ত বিমানে যাতায়াতের বিষয়ে কিছুই জানায়নি বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার।
[৩] নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকাশ পথে চলাচলের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো ধরনের নির্দেশনা নেই।
[৪] ইউএসবাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের সঙ্গে যখন আকাশপথে চলাচল বন্ধ হয়েছিলো তখন সর্বনিম্ন ফেয়ার ছিলো দশ হাজারের কিছু বেশি। এটা যাওয়া ও আসা টিকিট। কিন্তু এখন যদি ফ্লাইট চালু হয় তবে এই ভাড়া বাড়তেও পারে। উন্নয়ন ফি ও নিরাপ্ততা ফিতেই এগারো ডলার যোগ হয়েছে। এর সঙ্গে এক সিন ফাঁকা করে যদি ফ্লাইট চালাতে হয় তবে ভাড়া আরো বাড়বে।
[৫] এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এওএবিএর মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহামন বলেন, ভারতের সঙ্গে আকাশপথ উন্মুক্তের কোনো ঘোষণা আমরা পাইনি। সর্বোনিম্ন ফেয়ার যেটা ছিলো সেটা এখন আর থাকতে নাও পারে। ধীরে ধীরে সব কিছুই উন্মুক্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে যদি যাত্রী পরিবহন করার অনুমতি পাওয়া যায় তবে এয়ারলাইন্সগুলো সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো ।
[৬] এতদিন বিমান সংস্থাগুলো বিশাল ক্ষতির মুখে পরেছে কোভিডের জন্য। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলো আবার ঘুরে দাড়াবে বলে আশা করছেন সংশ্লীষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :