রহিদুল খান : [২] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত মৌসুমে জেলায় ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে।
[৩] অর্থাৎ গত মৌসুমের চেয়ে এবার ৪ হাজার ২২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর, শার্শা উপজেলায় ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর, ঝিকরগাছায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর, চৌগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৬০০ হেক্টর, মনিরামপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ২২০ হেক্টর, অভয়নগর উপজেলায় ৬৬৫ হেক্টর ও কেশবপুর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে।
[৪] এবার আউশে বিআর-২৬, ব্রি ধান-২৮, ৪৮, ৫০, ৫৫, ৫৮, ৬৩, ৮২ ও ৮৩, বিনা ধান-১৯, মিনিকেট, রহিম স্বর্ণ, শুভলতা, গণতারা, জিএস ওয়ান, জামাইবাবু, হাইব্রিড ইস্পাহানি, সিনজেন্টা, ১২০৬, তেজগোল্ড, এসএলএইটএইচ, হিরা ও অ্যাগ্রো ধান-১৪ জাতের ধানের চাষ হয়েছে।
[৫] চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন এ বছর আবহাওয়া অনকুলে থাকায় আউশ ধানের ভাল ফলন হবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি আরো বলেন আমাদের কৃষকেরা আউশ ধানের চাষ করলে ঐ জমিতে সরিষা চাষ করে আবার বোরো ধানের চাষ করতে পারে। সে হিসেবে দুই ফসলি জমিতে সহজেই তিন ফসল চাষ করা যায়।
[৬] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এবার জেলার ৫ হাজার ৫০০ জন কৃষককে আউশ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি করে বীজ ধান, ২০ কেজি করে ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং ১০ কেজি করে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার পেয়েছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :