শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:২৫ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপেলের কোন অংশ সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর?

ডেস্ক রিপোর্ট : স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সহজলভ্য ফল হিসেবে আপেলের জনপ্রিয়তা রয়েছে। মধ্যাহ্নের ক্ষুধা নিবারণে আপেল একটি নিখুঁত পছন্দ। আপেল ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। সকালের নাস্তায় আপেলের কদর রয়েছে। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে আপেলের স্বাস্থ্যকর অংশটিই আমরা সাধারণত ফেলে দেই। চলুন জেনে নিই আপেলের কোন অংশ সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।

অনেকেই মনে করছেন আপেলের খোসা ফেলে দেয়া হয়। এটিই মনে হয় সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এমনটি ভেবে থাকলে আপনি ভুল ভাবছেন। আসলে আপেলের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর অংশ হলো এর বিচি। আপেলের মাংসের চেয়ে বিচি দশ গুণ বেশি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া সরবরাহ করতে পারে।

২০১৯ সালে জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্স ইন মাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, একটি আপেলের বীজে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়া থাকে, যা বেশিরভাগ লোকেরা উপেক্ষা করে। একটি সম্পূর্ণ আপেল (বিচিসহ) প্রায় একশ মিলিয়ন (দশ কোটি) ব্যাকটিরিয়া ধারণ করে। যার মধ্যে আপেলের মাংসে শুধুমাত্র এক কোটি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া রয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, আপেলের ব্যাকটেরিয়াগুলো বেশ স্বাস্থ্যকর এবং অন্ত্রের জীবাণুগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রে মাইক্রোবায়োটা থাকা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি আপনাকে বাইরের রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে।

আপেলের বীজে প্রোটিন, ফাইবার এবং তেলও থাকে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যান্সার বিরোধী যৌগ সমৃদ্ধ।

আমরা বিভিন্ন ফল বা শাকসব্জির বীজ ফেলে থাকি কারণ এতে অ্যামিগডালিন নামে একটি যৌগ থাকে, যা বিষাক্ত বলে বিবেচিত হয়। যখন এই যৌগটি আমাদের পাচনতন্ত্রের সংস্পর্শে আসে তখন এটি সায়ানাইড নিঃসরণ করে, যা মারাত্মক বিষ।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) হিসাবে, ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির জন্য ১-২ মিলিগ্রাম সায়ানাইড মারাত্মক হতে পারে। তবে আপেল বীজে অ্যামিগডালিনের পরিমাণ একেবারেই কম। শরীরে মারাত্মক পর্যায়ের সায়ানাইড তৈরি হতে গেলে ২০০টি আপেলের বীজের দরকার পড়বে।

নিঃসন্দেহে আপেলের বীজ সম্পর্কে এই নতুন গবেষণাটি আকর্ষণীয়। এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু গবেষণা অনুসারে, আপেলের বীজ খাওয়ার কোনো ক্ষতি নেই, আবার অন্যরা মনে করেন আপেলে বীজ ফেলে দেয়ায় ভালো। তবে এ বিষয়ে উপসংহারের আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

সূত্র : ঢাকা টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়