শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:০৬ সকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০৫:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজার সৈকত ও হোটেলে মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি

ডেস্ক রিপোর্ট : পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে কক্সবাজার সৈকত ও অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, নইলে গুনতে হবে জরিমানা।

বিভাগীয় শহরের বাইরে যেসব জেলায় করোনার সংক্রমণ বেশি তার মধ্যে কক্সবাজার একটি। প্রায় চার হাজার সংক্রমিত ব্যক্তি এই জেলায় শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজারের কয়েকটি এলাকাকে রেড জোনও ঘোষণা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, পর্যটক ও যারা পর্যটকদের নানা ধরনের সেবা প্রদান করবেন তাদের জন্য কী করণীয় সে বিষয়ে একটি নির্দেশাবলি তৈরি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

সেখানে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, রেস্তোরাঁ, এয়ারলাইনস, টুরিস্ট কোচসহ পর্যটনের সঙ্গে জড়িত এ রকম নানা পক্ষের জন্য আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেমন; কভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর থেকে যেসব স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে তা মানতে হবে। পর্যটকদের ভ্রমণের আগে অনলাইনে বুকিং ও অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়। বড় দলে পরিবর্তে কম সদস্য ও পারিবারিক ভ্রমণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্থানীয় পরিবহন, গাইড, স্যুভেনির শপ ইত্যাদির কভিড-১৯ বিষয়ে নিরাপত্তা বিধানের সক্ষমতা রয়েছে কিনা তা যাচাই করে বুকিং দেওয়া, হোটেলে অবস্থানকালে বহিরাগত কারোর প্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হয়।

পর্যটকদের ব্যবহৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে ফেলা, রেস্তোরাঁয় পরিবেশন করা বুফে খাবার পরিহার করে বরং তিন ফুট দূরত্বে খাবার টেবিলে বসা ইত্যাদি নানা বিষয় উৎসাহিত করা হয়েছে।

নিয়ম ভঙ্গ প্রসঙ্গে জাভেদ আহমেদ বলছেন, “কেউ যদি মাস্ক না পরে কোথাও যান তাহলে তাকে জরিমানার সম্মুখীন হতে হবে। মোবাইল কোর্ট, টুরিস্ট পুলিশ এবং জেলার প্রশাসন একসঙ্গে এ বিষয়টিতে কাজ করবে।”

টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জেলার এসপি মো. জিল্লুর রহমান জানান, সৈকতের যে অংশগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় যেমন; কলাতলি বিচ, লাবনি পয়েন্ট, ইনানি বিচ, হিমছড়ি এসব জায়গায় নামার পথে টুরিস্ট পুলিশ অবস্থান করবে এবং কেউ যদি মাস্ক না পরেন তাহলে তাকে সৈকতে যেতে দেওয়া হবে না। কারো কাছে মাস্ক না থাকলে দরকারে তাকে তা সরবরাহ করা হবে।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে বা টোয়াবের সভাপতি মো. রাফিউজ্জামান বলছিলেন, পাঁচ মাস যাবৎ পর্যটন শিল্পের সবকিছু বন্ধ থাকায় এই সময়ে ৫ হাজার ৭শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে নানাভাবে ৪০ লাখের মতো মানুষ জড়িত। সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ সকল পক্ষের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “হোটেলে চেক-ইন করার সময়, কারো যদি বুকিং করে অনলাইনে টাকাও পরিশোধ করা থাকে তবুও মাস্ক না পরলে, দূরত্ব বজায় না রাখলে তাকে চেক-ইন করতে দেওয়া হবে না। মাস্ক ছাড়া উপায় নেই।”

এত সতর্কতা সত্ত্বেও ঝুঁকি রয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআরের ভাইরলজি বিভাগের প্রধান ডা. তাহমিনা শিরিন। বলছেন, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পর্যটনের জন্য সৈকত বা বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর সংক্রমণের বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে আবার সৈকত বা বিনোদন কেন্দ্র বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “যেমন লোকে বিচে নামলে মাস্ক ভিজে গেলে সেটা খুলে ফেলবে। রেস্টুরেন্টে মাস্ক খুলেই খেতে হবে। অতএব একটা ঝুঁকি রয়েই যায়।”

আরও বলেন, “সৈকত যেহেতু খোলা জায়গা তার থেকে ঝুঁকি বেশি রেস্টুরেন্ট বা কেনাকাটার জায়গাগুলোতে। সে ক্ষেত্রে এ সব জায়গায় কতজন আসতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করা দরকার।”

“স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ যতই থাকুক না কেন মূল দায়িত্ব কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্যটকের নিজের।”

বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার এখনো ২০ শতাংশের উপড়ে এবং শনাক্তের হার লম্বা সময় ধরে একই রকম আছে।

এ দিকে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট ৩৬৯৪ জন মারা গেছেন।

সূত্র : দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়