মো. রাকিবুল হাসান, গণ বিশ্ববিদ্যালয় : [২] দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্যে ডিজিটাল লাঠি তৈরি করে বাহবায় ভাসছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তন্ময় রায়।
[৩] সাত মাসের প্রচেষ্টায় ১৭ হাজার টাকায় বানানো এ লাঠির নাম দিয়েছে ‘ব্লাইন্ড স্টিক’। এ ডিভাইসে যুক্ত করেছে আল্ট্রা সনোমিটার প্রযুক্তি। যার ফলে চলার পথে যেকোনো বাধা থাকলে, অন্ধ ব্যক্তি সংকেতের মাধ্যমে জানতে পারবে। হারিয়ে গেলেও জানা যাবে তার অবস্থান। এ ডিভাইসে রয়েছে জিপিএস সহ নানা ধরনের অ্যাপস।
[৪] এতে রয়েছে ওয়াটার সেন্সর, পালস সেন্সর ও জুরুরি বোতামের সুবিধা। ওয়াটার সেন্সরের মাধ্যমে অন্ধ ব্যক্তির সামনে পানি থাকলে জানতে পারবে। এ ব্লাইন্ড স্টিকের মাধ্যমে পালস রেট মাপা, বিপদে কল কিংবা বার্তার মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারবে।
[৫] চলতি বছরে ৫ জানুয়ারি ডিভাইসটি তৈরীর কাজ আরম্ভ করা হয়। বিভাগীয় প্রজেক্টের অংশ হিসেবে কাজটি শুরু করেন তন্ময়। প্রথম ধাপে এটি বানাতে ১৭ হাজার টাকা লাগলেও বাণিজ্যিকভাবে ডিভাইসটি তৈরি করে দেড় হাজার টাকায় সাধারণ মানুষকে সরবরাহ করা যাবে।
[৬] তন্ময় রায় বলেন, 'অন্ধ ব্যক্তির জন্য কিছু করতে পেরেছি বলে আমি অত্যন্ত খুশি। অন্ধ ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়। তাদেরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এই ডিভাইস সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আলোর পথ দেখাবে।'
[৭] পুরো কাজটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করেছেন উক্ত বিভাগের সাবেক প্রধান ও প্রজেক্টের সুপারভাইজার ড. গোলাম আবু জাকারিয়া, বর্তমান বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা আজহারী, কো-সুপারভাইজার নাজমুল আলীম। এছাড়া এ কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর সহপাঠী মাহবুব আল মামুন ও উজ্জ্বল সরকার নামক একজন পরামর্শক।
[৮] বিভাগীয় প্রধান ড. হাসিন অনুপমা জহারী বলেন, 'আমাদের এই সেক্টরে কাজটাই হলো-সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সমাজের জীবন সহজ করা। আমরাও এই প্রযুক্তির সাহায্য দ্বারা নতুন নতুন কিছু তৈরী করতে শিক্ষার্থীদের সবসময় উৎসাহিত করি। এই ব্লাইন্ড স্টিক তার-ই ফসল। তন্ময়কে আন্তরিক অভিনন্দন। এভাবেই আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।'
[৯] সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ডা: দেলওয়ার হোসেন বলেন, 'নিঃসন্দেহে এটা একটি প্রশংসনীয় কাজ। যেকোনো কিছু তৈরী সহজ বিষয় নয়। এরকম ডিভাইস আমাদের শিক্ষার্থীরা তৈরী করতে পেরেছে যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যেসব প্রফেসর ও শিক্ষার্থী এ কাজে ছিলেন সবাইকে অভিনন্দন। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :