সোহেল রহমান: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সম্পূর্ণ বিজনেস প্রসেস অটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে করের আওতা সম্প্রসারণ (জরিপ, থার্ড পার্টির ডাটাবেজ ব্যবহার করা), করদাতাদের রিটার্ন দাখিল বাড়াতে চলতি অর্থবছরে রিটার্ন ফরম সহজ করে এক পাতার রিটার্ন ফরম তৈরী করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় আয়কর অফিস স্থাপন করা হবে। কোন ব্যক্তিকে একবারের বেশী টিন নম্বর দেয়া হবে না। এ বছর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে করদাতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কর হার হ্রাস করা হয়েছে।
সোমবার ‘২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের কর্ম পরিকল্পনা’ সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে যে সকল কর্মপন্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির অগ্রীম আয়কর বাড়ানো হয়েছে, ভূয়া টিআইএন ও কর ফাকি রোধে বিআরটিএ-কে ই-টিআইএন যাচাইয়ে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। আয়কর বিভাগের ৬৫% রাজস্বই আদায় হয় উৎসে কর হতে। উৎসে কর আদায়ে যথাযথ মনিটরিং ও উৎেস কর্তনে কর ফাকি রোধকল্পে টাস্কফোর্স গঠন, ই- টিডিএস সিস্টেম তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিদেশী নাগিরকেদর কর ফাঁকি রোধে ডাটাবেজ তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত গাড়ীর বিশেষ ধরনের নম্বর প্লেট বিক্রির মাধ্যমেও রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বলেন, অর্থমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে অটোমেশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত প্রায় সকল টিআইএন ধারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণে অনলাইন লেনদেন বৃদ্ধি বেড়েছে। এ খাত হতে কর আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে কর নির্ধারণ, দাবী সৃষ্টি ও আদায়, অডিট মামলা নিষ্পত্তি, বকেয়া কর আদায়, ব্যবস্থাপনা গতিশীল করা, হাইকোর্টের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :