সুজন কৈরী: [২] প্রেমের সম্পর্ক রাখতে না চাওয়ায় সাবেক প্রেমিকার ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন মোহাম্মদ হোসাইন শিবলু (৩৮)।
[৩] রোববার কুমিল্লার আদর্শ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোনসেট, মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
[৪] সোমবার ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ এডিসি আশরাফউল্লাহ বলেন, শিবলুর সঙ্গে ভুক্তভোগীর ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর থেকে হোয়াট্সঅ্যাপে তাদের কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে দেখা করার জন্য বার বার অনুরোধ করেন শিবলু। অনুরোধে রাজি হলে তারা কুমিল্লা উভয়ের দেখা হয়। শিবলু ভিকটিমের কাছে নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিভিন্ন জায়গায় কয়েকবার সাক্ষাৎ ও ঘোরাঘুরি করেন। শিবলুর বারবার অনুরোধে ভুক্তভোগী তার কিছু একান্ত ব্যক্তিগত ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। কিন্তু পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন যে শিবলু বিবাহিত এবং সন্তান আছেন। বিষয়টি জানার পর ভিকটিম শিবলুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যোগাযোগ করতে না করেন। এরপরও শিবলু ভিকটিমের ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপে নক করেন। কোনো সাড়া না দেয়ায় শিবলু ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন হুমকি দেন এবং তার সাথে সম্পর্ক না রাখলে আপত্তিকর ছবিগুলো ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের কাছে পাঠাবে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরালের হুমকি দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিবলু ভুক্তভোগীর ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবিগুলো চার বছর ধরে বিভিন্ন সময় ম্যাসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের কাছে পাঠাতে থাকেন। সেইসঙ্গে শিবলু তার ফেসবুক টাইমলাইনেও ভিকটিমের নিষেধ করা সত্তে¡ও উভয়ের প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে তোলা বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেন। এতে ভিকটিম সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন।
[৫] এডিসি আশরাফউল্লাহ বলেন, গত ৩০ জুলাই ভিকটিমকে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় ভিকটিমের ভাবীর হোয়াটসঅ্যাপে কিছু ব্যক্তিগত ছবি পাঠান শিবলু। অভিযানকালে শিবলুর কাছ থেকে উদ্ধার মোবাইল ও ল্যাপটপ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিবলু ভুক্তভোগীর কর্মস্থলের সহকর্মীসহ অভিভাবক ও ক্লায়েন্টেদের তৈরি বিভিন্ন গ্রæপে আপত্তিকর ছবিগুলো ছডিয়ে দিয়েছেন।
[৬] পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, শিবলুর বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :