হাসান মো. শামীম : [২] সিলেটে বাংলাদেশ বিমানের টিকিট নিয়ে ধোয়াশা যেন কাটছেই না।
[৩] বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ফ্লাইটের সংখ্যার বিপরীতে যাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায় টিকেট দেওয়া যাচ্ছে না। তারা বলছেন আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত টিকেট নেই।
[৪] এদিকে বিদেশ যাত্রীরা বলছেন বিমান অফিসে টিকিট নেই বললেও ট্রাভেল এজেন্সি গুলোতে বেশি দামেও মিলছে টিকিট।তারা অভিযোগ করছেন প্রবাসীদের দুর্বলতার সুযোগে সিন্ডিকেট ব্যবসায় নেমেছেন ট্রাভেল এজেন্সি ও বিমানের অসাধু কর্মকর্তারা।
[৫] গত বুধবার উড়োজাহাজের টিকেট না পেয়ে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসীরা।
[৬] এসময় টিকেটের দাবিতে বিক্ষোভের সময় তারা নগরীর আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়ক অবরোধও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন সকালে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দুবাই প্রবাসীরা টিকেটের জন্য বিমান অফিসে ভিড় করেন।
[৭] এ সময় কর্তৃপক্ষ আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিমানের কোনো সিট খালি নেই জানালে প্রবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।আরব আমিরাতে বসবাসকারী এক ব্যক্তি বলেন, করোনাভাইরাসের আগে রিটার্ন টিকেটসহ দেশে আসলেও এখন তিনি দুবাই ফিরতে পারছেন না। বিমান অফিস বলছে, এ মাসে বিমানের কোন ফ্লাইটে সিট খালি নেই। অথচ ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে গেলে বেশি টাকায় টিকেট মিলছে।
[৮] এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানের সিলেট জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মজুমদার আমাদের নতুন সময় কে বলেন, বাংলাদেশে বিমানের টিকিট সংকটের কারণে সিলেটে আটকা পড়া দুবাই প্রবাসীরা অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিলেন। যেহেতু আগামী ৩০ তারিখ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের কোন ফ্লাইটেরই আসন খালি নেই,সেহেতু আমাদের কিছু করার নেই। তবে সবার কাগজপত্রের ফটোকপি রেখে দিচ্ছি। যখনই টিকিট অ্যাভেলেবল হবে, তাদের মেসেজ দেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :