লাইজুল ইসলাম : [২] তিনি বলেন, র্যাপিড টেস্টসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। বিশেষজ্ঞ কমিটি অ্যান্টিবডি-অ্যান্টিজেন ভিত্তিক র্যাপিড টেস্টের অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যাচাই বাছাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা বলেন, সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে সেরো সার্ভিলেন্স, প্লাজমা থেরাপি ও গবেষণার জন্য এই কিট ব্যবহার হতে পারে। এক্ষেত্রে কিটের ব্যবহারের জন্য মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতিপত্র। এজন্য একটি নীতিমালাও তৈরি আছে। এটাও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
[৪] তিনি বলেন, কোভিড নিয়ে বেশ কয়েকটি টেস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে এই বৈঠকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কয়েকটি নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া আছে। এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে তারা। অনুমোদন দেয়ার পর ওষুধ প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
[৫] রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সেরো সার্ভিলেন্সের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা যেতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ক্লাস্টারভিত্তিক ভাবে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে এটি ইমিউনিটি দেখার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে র্যাপিড টেস্ট অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :