ইসমাঈল ইমু : [২] সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঠিকাদার হাজী সালেহ্ মোহাম্মদ। বাবুবাজার ব্রিজের নিচে পার্কিং ইজারা দিয়ে এবং ওয়ার্ক অর্ডার না দিয়ে ফের ইজারা দেয়ার ঘটনা সুরাহার জন্য মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
[৩] লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ডিএসসিসির কার পাকিং ইজারার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৩০ জানুয়ারি তিনিসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। গত ১৩ মার্চ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্তে তাকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপর প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার কাছে কয়েকবার কার্যাদেশ চাওয়ায় তিনি দেই, দিচ্ছি, বলে সময় ক্ষেপন করেন। পরে ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব ও সম্পত্তি কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে কার্যাদেশ চেয়ে কয়েক দফায় চিঠি পাঠালেও কোনো প্রকার উত্তরা পাওয়া যায়নি।
[৪] সালেহ মোহাম্মদ আরো বলেন, গত ১৫ জুলাই দৈনিক সমকাল পত্রিকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একই পার্কিং ইজারা পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। এ নিয়ে আদালতে হাজির হয়ে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে উচ্চ আদালত ডিএসসিসির ওই দরপত্রটি স্থগিত রাখার জন্য গত ২৭ জুলাই আদেশ দেন। কিন্তু গত ১৩ আগস্ট প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন সাক্ষরিত এক চিঠিতে রিয়াজ উদ্দিনকে বাবুবাজার ব্রিজের নিচের পাকিংটি ইজারা দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের আদেশ ব্যাকআউট না করে তারা যে টেন্ডার কার্যক্রম চালিয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :