লিহান লিমা: [২] টানা ২৬ বছর ধরে বেলারুশকে শাসন করা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে দেশটির রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করছে ছাত্র-জনতা। ৯ আগস্টের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে অষ্টম দিনের মতো প্রায় ২ লাখ প্রতিবাদকারী সাদা পোশাকে ফুল ও বেলুন হাতে নিয়ে ‘মার্চ ফর ফ্রিডম’ বিক্ষোভ করেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডন ও মস্কোতে। নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী শ্বেতলানা তিখানভস্কায়া লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আল জাজিরা
[৩] রাজধানী মিনস্কের বিক্ষোভকারীরা ‘লুকাশেঙ্কো দূর হও, ‘বেলারুশ দীর্ঘজীবি হোক’, ‘বন্দীদের মুক্তি দাও’ ¯েøাগান দেন। সঠিক তথ্য প্রচারের দাবিতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সামনে বিক্ষোভ করেন হাজারো মানুষ। যাতে অংশ নেন সাংবাদিকরাও। ‘মিনস্ক ট্রাক্টর ওয়ার্কাস’ এর কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে কণ্ঠে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেন।
[৪] দুই জন প্রতিবাদকারী মারা গেছেন। এনবিসি নিউজ
[৫] লুকাশেঙ্কো পদত্যাগ এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখান করেছেন। প্রায় ৫ হাজার সমর্থকের উদ্দেশে দেয়া সমাবেশে তিনি বিরোধীদের ‘ইঁদুর’, ‘আবর্জনা’ এবং ‘ডাকাত’ বলে সম্মোধন করেন। লুকাশেঙ্কো বলেন, বিক্ষোভকারীরা হচ্ছে ‘বিশ্বাসঘাতক’। এই সময় ন্যাটোর বিরুদ্ধে বেলারুশের সীমান্তে কামান ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে রাখার অভিযোগ আনেন। তবে ন্যাটো এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বেলারুশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখলেও পূর্ব ইউরোপে নতুন করে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয় নি। ডয়েচে ভেলে
[৬] ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অবাধ না হওয়ায় তারা ভোট পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে রাশিয়া বলেছে, বিদেশি শক্তি মোকাবেলা তারা বেলারুশকে প্রয়োজনীয় সামরিক সহায়তা দেবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :