শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৩৪ সকাল
আপডেট : ১৭ আগস্ট, ২০২০, ০৭:৩৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তারিকুল লাভলু: বাবা ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, ‘হয় ফেমাস হও, নয় নটরিয়াস’, মুর্তজা বশীর ঠিক করেছিলেন তিনি বিখ্যাত হবেন

তারিকুল লাভলু: ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক গিয়েছিলেন বগুড়ায়। আমি অটোগ্রাফ নিলাম। বললাম, কিছু লিখে দিলেন না? তিনি লিখলেন, ‘বি ট্রুথফুল।’ সেদিন থেকে অটোগ্রাফ নেওয়ার প্রতি আমার আগ্রহ কমে গেলো। সারাজীবন এতো অসত্য বলে আমাকে লিখলেন, সত্যবাদী হতে?’ এই হলেন শিল্পী মুর্তজা বশীর। উপলব্ধি করার দক্ষতাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় সম্পদ।

বাবা ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, হয় ফেমাস হও, নয় নটরিয়াস। তিনি ঠিক করেছিলেন, বিখ্যাত হবেন। বিশ্বের বিখ্যাত লোকদের চেনা ও তাঁদের অটোগ্রাফ নেওয়ায় মশগুল হয়েছিলেন৷ জওহরলাল নেহরুর ছবি এঁকে তাঁকে পাঠিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমি দশম শ্রেণির ছাত্র, আপনার পোর্ট্রেট এঁকে পাঠালাম, বিনিময়ে আপনার স্বাক্ষর চাই।’ নেহরু পাঠিয়েছিলেনও। সময়টা ছিল সেপ্টেম্বর ১৯৪৮। এই আগ্রহের তালিকায় যোগ হয়েছিলো সূর্য সেনের সঙ্গী অম্বিকা চক্রবর্তী, কমিউনিস্ট নেতা ভবানী সেন, সাইকেলে করে বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম বাঙালি রামনাথ বিশ্বাসÑ এমন অনেকেই। শেরে বাংলা তাঁর সেই আগ্রহে ইতি টেনেছিলেন।

চেয়েছিলেন অমর হতে। পত্রিকা অফিসে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘আমার মৃত্যুর পর নিউজটা কোথায় দেবেন?’ কেউ বলতেন, ভেতরের পাতায়। কেউ বলতেন শেষের পাতায়। বন্ধু শামসুর রাহমান তখন দৈনিক বাংলার সম্পাদক। তিনি বলেছিলেন, প্রথম পাতায় সিঙ্গেল কলামে নিউজ করবেন। এই আশ্বাসে একটুও সন্তুষ্ট হননি শিল্পী। মূল শিরোনামের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘এখানে দেবেন না?’

এমন আবদারে পত্রিকাওয়ালারা অবাক হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে তাহলে ততো দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে, যতোদিন না আমি মারা গেলে লিড নিউজ হই। আমাকে সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।’ সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে এই শিল্পীর প্রস্থানে আগামীকাল পত্রিকাগুলোতে তিনি লিড নিউজ হবেন কিনা জানি না। তবে শিল্পের ইতিহাস সেদিন তাঁকে নিয়ে নিঃসন্দেহে মশগুল হবে, যেদিন ইতিহাসবেত্তাগন তাঁর শিল্পকর্মগুলো বোঝার জন্য যোগ্য হবেন। চিরশান্তিতে থাকুন, প্রিয় শিল্পী। আপনার অমরত্বের আকাক্সক্ষা প্রবাহমান তো রইলোই আপনার অনন্য শিল্পকর্মে। লেখক : স্থপতি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়