সমীরণ রায় : [২] জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশ, কিছু অজানা কথা’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শুরু হল ইতিহাস বিকৃতি। ৭৫’র ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে গেল। বঙ্গবন্ধুর সব ইতিহাস নিষিদ্ধ হয়ে গেল। সেই পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষমতালোভী স্বাধীন বাংলায় সেনাশাসনকে বাঙালির বুকের ওপর চাপিয়ে দিল। ৩বছর ৭মাসে দেশটাকে যখন স্বাভাবিক করলেন তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হল। এরপর আবার শুরু হল জেল জুলুম হত্যা।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার যেন আর কেউ না থাকে সে কারণে নিষ্পাপ রাসেলকে হত্যা করেছিল খুনিরা। পরে ৮১’র ১৭ মে ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে গগণবিদারী স্লোগান দিয়ে বরণ করে নিয়ে এসেছিলাম শেখ হাসিনাকে। তার হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে না পারলে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারতাম না।
[৪] আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৭৫’র পরে খুনিরা মাঝে মাঝেই বন্দুক উঁচিয়ে বীরত্ব জাহির করত। তখন যারা ছাত্রলীগ ছাত্র ইউনিয়ন এবং আমরা যারা রাজনৈতিক কর্মী ছিলাম তারা ডাকসুর নেতাদের নেতৃত্বে ৩২ নম্বরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে কলাবাগান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। তখন ৩২ নম্বরে যাওয়াটা প্রায় অঘোষিত নিষিদ্ধ ছিল।
[৫] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পঁচাত্তরের এই হত্যাকাণ্ড কারবালার ময়দানের হত্যাকেও হার মানিয়েছে। কারণ ওই সব হত্যাকাণ্ডে অবলা নারী, অবুঝ শিশু, আন্তঃসত্ত¡া নারীকে হত্য করা হয়নি। বিশ্বের ইতিহাসে জুলিয়াস সিজার থেকে শুরু করে আমেরিকার আব্রাহাম লিংকন, ইন্ডিয়ার মাহাত্মা গান্ধীসহ যতগুলো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম, বর্বরতম হত্যাকাণ্ড এই ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড।
[৬] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিতে নানা কৌশল করেছিলেন তৎকালীন ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানসহ অনেকে। তার আমলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ।
[৭] শুক্রবার রাতে সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তের সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।
আপনার মতামত লিখুন :