মিনহাজুল আবেদীন : [২] বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী ১৯৯৬ সালে কানাডায় উদ্বাস্তু হিসাবে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করেছিল। তার সে আবেদন অগ্রহণযোগ্য বলে সিদ্ধান্ত দেয় ওই দেশের অভিবাসন বোর্ড। এর বিরুদ্ধে নূর চৌধুরী ও তার স্ত্রী মামলা করলে অভিবাসন বোর্ডের পক্ষেই রায় দেয় কোর্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে গুরুতর অরাজনৈতিক অপরাধ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে নূর চৌধুরী এর সঙ্গে জড়িত বলে রায় দেয় কোর্ট। ২০০৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর অন্টারিও এর ফেডারেল কোর্ট এই রায় দিয়েছিল। আর টিভি
[৩] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক প্রধান মিজানুর রহমান বলেন, কোর্ট খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কানাডার ইমিগ্রেশন বোর্ড প্রথমে নূর চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা আবেদন খারিজ করে দেয়। সেটাই কোর্টে যখন চ্যালেঞ্জ করা হয় তখন এই রায় দেওয়া হয়। বাংলাট্রিবিউন
[৪] তিনি বলেন, কোর্ট তার বিশ্লেষণে বলেছে যদি কোনও রাজনৈতিক অপরাধ রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানকে হত্যাকান্ডে পর্যবসিত হয়। তবে আমাদেরকে অনেক গভীরভাবে বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।
[৫] কোর্ট যে বিষয়গুলি বিবেচনা করেছে সেগুলো হচ্ছে নূর চৌধুরী কোনও ধরনের গুরুতর অরাজনৈতিক অপরাধ করেছে কিনা। রাজনৈতিক আশ্রয় যারা আবেদন করতে পারবে সেই ক্যাটাগরিতে নূর চৌধুরী পড়ছে কিনা। নূর চৌধুরী কোনও নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিনা। যে অপরাধটি হয়েছে সেটি রাজনৈতিক অপরাধ কিনা এবং বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার জীবনের ঝুঁকি আছে কিনা অথবা এমন কোনও অপরাধের জন্য দন্ড দেওয়া হবে কিনা যেটি সে করেনি।
[৬] তিনি আরও বলেন, নুর চৌধুরীর দাবি ছিল। তারা স্বৈরশাসক পরিবর্তন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোর্ট তাদের দাবিকে সমর্থন করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :