লালমনিরহাট প্রতিনিধি: [২] জেলার সদর হাসপাতালের সিনিয়র সহকারী নার্স শারমিন আফরোজ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। তার এই দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেবা প্রত্যাশীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা এ বিষয়টি বুঝতে পারছেন তারা তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকায় নার্স শারমিন আফরোজ ২৬ জুলাই নমুনা দিলে ২ আগস্ট রিপোর্টে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বাড়িতে থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের চাপে ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে যোগ দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার জ্বর, কাশি লেগেই আছে। শরীরে এখনো তিনি ব্যথা অনুভব করছেন।
[৪] নার্স শারমিন আফরোজ বলেন, এ সময় আমার বাড়িতে থেকে বিশ্রাম নেয়া দরকার। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমাকে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
[৫] তিনি সচেতনতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দায়িত্ব পালন করছেন বলে দাবি করেন।
[৬] হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা হামিদুর রহমান বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৫ বছর বয়সী শিশুকে রেখে দুই দিন ধরে চিকিৎসা নেয়ার পর জানতে পারি এখানকার একজন নার্স করোনা আক্রান্ত। তাই আর দেরি না করে বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে এসেছি।
[৭] লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে করোনা আক্রান্ত কোনো নার্স কেন, কোনো স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হলে তারা কর্মস্থলে আসতে পারবেন না।
[৮] লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, করোনার নমুনা দেওয়ার পর থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আর এটা কোনোভাবেই হতে পারে না।
[৯] তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কোভিড-১৯ পজিটিভ কোনো নার্স ডিউটিতে আসবে, তাও আবার শিশু ওয়ার্ডে! কেউ যদি অসুস্থ থাকে তাকে কোনোভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া যাবে না। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ