ইমরুল শাহেদ: [২] কোভিডের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যটন খাত ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মন্দা নেমে আসায় দেশটির অর্থনীতির ওপর যে প্রভাব পড়েছে, তা নিয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২২.৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে। হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স
[৩] গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে দেশটির ৭৭ জেলার ৫২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৭০০ শাখায়। তাতে দেখা যায় বেশির ভাগ কাজ হারিয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। কৃষিক, বন বিভাগ, মৎস্য, পাইকারী ও খুচরো বাজারে নিয়োজিত শ্রমিকরাও এই কাজ হারানোর তালিকায় রয়েছেন।
[৪] নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই জন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত মার্চ মাসেই নেপাল সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে। এতে রোগটি নেপালে তেমন একটা বিস্তার করতে পারেনি। সেটা লক্ষ্য করেছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
[৫] গত জুন মাসে এসে লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়। কিন্তু দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে আরো সময় লাগবে। নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংকের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) নির্বাহী পরিচালক গুনাকার ভাট্টা বলেন, করোনা পুরোপুরি উৎখাত হয়ে গেলেও ক্ষতি পোষানো সহজ হবে না। তিনিই এই সমীক্ষা পরিচালনা করেন।
[৬] তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যবসায়ের মধ্যে হোটেলগুলোকে পূর্বে অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে ১৩ মাস লেগে যাবে।’ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কর্মীদের ১৮ শতাংশ বেতন কম দেওয়া হয়েছে এবং ৬১ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :