মঈন উদ্দীন: [২] জেলার দুই শতাধিক ফার্মেসির কোনো হদিসই মিলছে না। ডাকযোগে রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছিল ওধুধ প্রশাসন অধিদফতর। কিন্তু ফেরত এসেছে চিঠিগুলো। ফলে এসব ফার্মেসির লাইন্সেস বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[৩] যদিও এখনও এক হাজারেরও বেশি ফার্মেসি চলছে হালনাগাদ ড্রাগ লাইসেন্সই ছাড়াই। তবে লাইসেন্স নবায়ন করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[৪] রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় ক্লিনিকপাড়া নামেই পরিচিত। এ এলাকাজুড়ে আছে বিপুল পরিমাণ ওষুধের দোকান। ওষুধ প্রশাসনের তথ্য মতে, রাজশাহীতে মেডিসিন শপ বা ফার্মেসির সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে দুই হাজারের কিছু বেশি ফার্মেসি ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করেছে। কিন্তু বাকিগুলোর হালনাগাদ লাইসেন্স নেই। এছাড়া নবায়ন না করলে লাইসেন্স বাতিলের চিঠি পাঠিয়েও অন্তত দুইশ’ ফার্মেসির কোনো ঠিকানাই পাওয়া যায়নি।
[৫] ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক মির্জা মো. আনোয়ারুল বাসেদ জানান, লাইসেন্স নবায়ণের জন্য তারা ফার্মেসিগুলোর নামে চিঠি ইস্যু করেছিলেন। কিন্তু দুই শতাধিক চিঠি ফেরত এসেছে। এসব ফার্মেসির কোনো ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকদফা এসব ফার্মেসিগুলোর নামে চিঠি ইস্যু করা হবে। এরপর কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
[৬] ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, প্রচলিত বিধি না মানায় স্থায়ীভাবে ড্রাগ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে ৪০টি ফার্মেসির ও সাময়িক বাতিলের সংখ্যা ২৭টি। আর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে ১৯টি ফার্মেসির। সম্পাদনা: জেরিন আহমদে
আপনার মতামত লিখুন :