ক‚টনৈতিক প্রতিবেদক: [৩] বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, সা¤প্রতিককালে অনেকগুলো মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে।
[৪] আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
[৫] তিনি বলেন, সংবিধানপ্রদত্ত এই অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি উল্টো প্রবণতা।
[৬] কোনো দল বা সংগঠন সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচির আয়োজন করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর নির্দয়ভাবে বলপ্রয়োগ করে। এমনকি নারীরাও লাঞ্ছনাপূর্ণ নির্যাতনের শিকার হন।
[৭] সরকারের এ ধরনের দমননীতি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জেনেভাতে তৃতীয় ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউতে (ইউপিআর) আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[৮] বাংলাদেশ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি, ১৯৬৬-এ অনুস্বাক্ষরকারী দেশ। এই চুক্তির ২১ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
[৯] আর্টিকেল নাইনটিন সরকারকে সংবিধান স্বীকৃত নাগরিকের সভা সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের নাগরিক-রাজনৈতিক অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :