শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ০৩:২৮ রাত
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ০৩:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ভারতের মধ্যপ্রদেশে খাটিয়ায় শুইয়ে, বাঁশে ঝুলিয়ে হাসপাতালে নিতে হল অসুস্থ মাকে!

রাশিদ রিয়াজ : [২] অসুস্থ মাকে দড়ি আর বাঁশ দিয়ে ঝুলন্ত খাটিয়ায় শুইয়ে, কাঁচা রাস্তা দিয়ে ২ কিলোমিটার হেঁটে, তার পরে মোটরবাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন ছেলে এবং পরিবারের সদস্যরা। রাস্তা নেই, গাড়ি নেই, এই অবস্থায় হৃদরোগে ধুঁকতে থাকা মাকে বাঁচানোর জন্য অন্য উপায় ছিল না। মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুরের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে বেহাল পরিষেবা নিয়ে। দি ওয়াল

[৩] ওই অসুস্থ প্রৌঢ়ার ছেলে সোমলাল যাদব বলেন, ‘আমরা ডোংরা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। এই এলাকায় পাকা রাস্তা নেই। ইলেক্ট্রিসিটিও নেই। প্রায়ই অসুবিধায় পড়তে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে দুর্বিষহ অবস্থা হয়। সরকারি অফিসাররা বহুবার এসে আশ্বাস দিয়েছেন রাস্তা হবে, কিন্তু তা আজ অবধি হয়নি। আমার মায়ের হার্টের রোগ আছে। সেদিন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হতো কোনও ভাবে।

[৪] প্রধান সড়ক থেকে ২ কিলোমিটার ভিতরে সোমলালদের বাড়ি। মা অসুস্থ হয়ে পড়তেই অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন তিনি, কোনও ভাবে নিয়ে গিয়ে মাকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলবেন বলে। কিন্তু জানা যায়, ২ ঘণ্টার আগে অ্যাম্বুল্যান্স আসবে না। তাই তখনই স্থির করেন, কোনও ভাবে কিছু করতে হবে। কিছু বাঁশ ও দড়ি দিয়ে দ্রুত অস্থায়ী খাটিয়া তৈরি করে মাকে ঝুলিয়ে কোনও ভাবে নিয়ে যান প্রধান সড়ক পর্যন্ত। সেখানে মোটরবাইকের ব্যবস্থা করে হাসপাতালে পৌঁছান মাকে।

[৫] সোমলালের বাবা হেমলাল যাদবও বলেন একই কথা, ‘রাস্তা না থাকায় বছরের পর বছর এই সঙ্কট সহ্য করছি আমরা। কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান সড়ক পর্যন্ত পৌঁছনোই বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়ায়। নেতারা আসতে থাকেন, কিন্তু রাস্তা আর হয় না।’

[৬] এই প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান সিদ্দিকি বলেন, আমি ঘটনার কথা আজকেই জেনেছি। ডিএম সাহেব আমায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সব দেখতে বলেছেন। আমরা আমাদের প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়