ফাহমিদা নবী: জীবনের গল্প তো অনেক ধরনের। কতো মানুষ কতো রকমের সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবনকে সহজ করতে চায়। কিন্তু এতো সহজ কীহয়? কতোটা সহজ হলে অন্যরা সহজ এবং লোভহীন হয়? আদৌ কি অসৎ মানুষ বদলায়? সময় কি তাদের উপলদ্ধির আবরণ পড়াতে পারেন? উত্তর, নাÑ পারেন না। কতোটা মূল্য দিয়ে জীবনবোধের জ্ঞান দেওয়া যায়? নিজে মূল্যবোধক চোখ পট্টি পড়ে ভাবছি আমি উন্নত মানসিকতায় চলছি, নিশ্চয়ই পাশেরজন উন্নত ব্যবহার করবে। তাই কি হয়? দুশমন কেন ভালো ব্যবহার করছে সেটা ১০০ বার ভাবতে হবে। স্বার্থ ছাড়া শত্রুর আর কোনো উদ্দেশ্য থাকে না, শ্বাশত সত্য।
আসলে ঘুরে ঘুরে পায়ে পাশে মীরজাফর ঘুরেই বেড়ায়, তাই একটু সাবধানতা দরকার। এ যুগের মীরজাফররা আরও ধূর্ত। শুধু পেছন থেকে ছোড়া মারে না, ওরা সামনে থেকেও ছোড়া মারে। তবে এও সত্য চিরকালই মিরজাফররা ঘৃণিত এক মৃত্যুর সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। তাদের বংশধরেরা মীরজাফরের আখ্যা পাবে। এই বিচারটুকু সবচেয়ে চিরস্থায়ী শাস্তি। মাথা উঁচু করে পৃথিবীতে কারো সামনে হাসতে, কথা বলতে পারবে না। তাদের চিরকালই মানুষ নিচু চোখে দেখবে। তাদের জন্য লজ্জিত হওয়া ছাড়া এই দুনিয়াতে আর বিচার দেখার অপেক্ষা ছাড়া আর কিছু করে নিজের সম্মানকে ক্ষত করা ঠিক হবে না।
তবে সাবধান, চোখ কান খোলা রেখে করোনাকালেও মীরজাফরদের চিনে রাখো। তারা বিশ্বাস করে সারা জীবন ওরা বেঁচেই থাকবে মৃত্যু ওদের হবে না। যেটা সবচেয়ে বড় মরিচিকায় নিজেকে ধ্বংস করছে কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না। পাপ বাপকেও ছাড়ে না, মনে রাখতে হবে। আল্লাহতাআলা সব দেখছেন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :