শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর
আপডেট : ১২ আগস্ট, ২০২০, ১১:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মির্জা ইয়াহিয়া: স্বর্ণ সংগ্রহের সঙ্গে অনেক সুখ জড়িয়ে থাকে!

মির্জা ইয়াহিয়া: করোনাভাইরাসের কারণে বিয়েশাদীর মতো সামাজিক অনুষ্ঠান নেই বললেই চলে। বিলাসী পণ্যের ব্যবহারও কমে গেছে। এসব বিষয় চিন্তা করলে বাজারে স্বর্ণের ক্রেতা এখন অনেক কম। আর ক্রেতা কম থাকলে দামও কমার কথা। কিন্তু স্বর্ণের ক্ষেত্রে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। সর্বকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আমাদের দেশে এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ৭৭ হাজার টাকা। বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়েছে, দাম বাড়ার কারণে গ্রাহকরা এখন কেনার চেয়ে স্বর্ণ বিক্রি করছেন বেশি। কারণ বিক্রির মাধ্যমে তারা অনেক বেশি লাভবান হতে পারছেন। সবমিলিয়ে স্বর্ণের বাজার নিয়ে বিস্ময়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছেন সবকিছু। তাদের মতে, স্বর্ণ ব্যবহারিক অলঙ্কার হলেও এর সঙ্গে অর্থনীতি ও মুদ্রাবাজারের সম্পর্ক আছে। করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্যে আছে। এই কারণে স্বর্ণের দাম বেড়ে গেছে। আর স্বর্ণ যাতে পাচার না হয়, তার জন্য আমাদের সরকারও এর দাম বাড়ানোর পলিসি গ্রহণ করেছে। আমি স্বর্ণের অর্থনীতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না। বলবো শুধু অভিজ্ঞতার কথা। আশির দশকে স্বর্ণের ভরি দেখেছি তিন হাজার টাকা। তখনো সবশ্রেণির মানুষ কমবেশি স্বর্ণ ব্যবহার করতো। স্বর্ণ ছাড়া বিয়েই হতো না। আমার বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালে। তখন স্বর্ণ ক্রয় করেছি পাঁচ হাজার টাকা ভরি। তবে স্বাভাবিক বাজারে দাম আরও একটু বেশি ছিলো।
ঢাকা নিউ মার্কেটে আমার শ্বশুরের দোকান থেকে কিনেছিলাম। তাই দামে কিছুটা ছাড় পেয়েছিলাম। আমাদের দেশে স্বর্ণের ব্যবসা অভিজাত ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। আর স্বর্ণের ব্যবহারেও আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ থাকে। উপহার হিসেবে স্বর্ণের অলঙ্কারই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। বিয়ের দেনমোহর হিসেবে স্বর্ণের বিষয়টা প্রচলিত রয়েছে। তবে এটা যদি যৌতুকের পর্যায়ে চলে যায়, তবে আমি তা অপছন্দ করে থাকি। এই পরিস্থিতির চেয়ে বেলিফুলের মালায় বিয়ে হবে, সেটার মূল্য অনেক বেশি। সচেতন ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই এটা ভালোভাবে গ্রহণ করে থাকেন। স্বর্ণ সংগ্রহের সঙ্গে অনেক সুখ জড়িয়ে থাকে। থাকে অনেক কষ্টের ব্যাপারও। তবে সংসারজীবনে স্বর্ণ কিন্তু বিপদের বন্ধু। জরুরি টাকার প্রয়োজনে ঘরে থাকা স্বর্ণ খুব কাজে লাগে। হয়তো কেউ নতুন ব্যবসায় নামবে কিংবা বাড়িজমি ক্রয় করবে, তখন যত্নে রাখা স্বর্ণ এগিয়ে দেয় আমাদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যারা। এটা আমাদের দেশে অনেক দিনের পারিবারিক চর্চা। এই কারণে অনেকেই বিয়ের স্বর্ণ ধরে রাখতে পারে না। সফল হলে আবার ঘরে ফিরে ভিন্ন স্বর্ণের ভিন্ন অলঙ্কার। আর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হলে তো নতুন করেও স্বর্ণ আর ঘরে ফিরে আসে না। এই ভাবে স্বর্ণ আমাদের সুখ- দুখের সাথী। তবে একটি বিষয় বলবো, বেশি পরিমাণে যদি হয়, তবে স্বর্ণ ঘরে রাখা নিরাপদ নয়। সেক্ষেত্রে কোনো ব্যাংকের ভল্টে রাখাই উত্তম। সবাই ভালো থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন। পরিশেষে এই কামনা রইলো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়