সাইদ রিপন: [২] মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইটে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। বিবিএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারীর ফলে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে।

[৩] এর আগে চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের শুরুতেই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে তা কমিয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়।

[৪] বিবিএসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্থিরমূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে মধ্যে সেবা খাত থেকে এসেছে ৫৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। টাকার অংকে এর পরিমাণ ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। শিল্প খাত থেকে এসেছে ৩১ দশমিক ১৩ শতাংশ বা আট লাখ ৩১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। আর কৃষি খাত থেকে এসেছে তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ।

[৫] এর আগে বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্বক না হলেও অনেক কম হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ। গত ৮ জুন প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের গেøাবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস ২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও কমে ১ শতাংশে আসতে পারে।