রাশিদ রিয়াজ : [২] ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে যে ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল, সেই মুহূর্ত আরও একবার ফিরে এসেছে রাশিয়ায়। এই ভ্যাকসিনের তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্পুটনিক ভি’ । ১৯৫৭-তে মহাকাশ জয়ের লক্ষ্যে চরম প্রতিযোগিতা ছিল রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। সেই লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়া। এবারো ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতায় সেই যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলেই এগিয়ে গেল রাশিয়া। স্পুটনিক ভি নামকরণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও বার্তা দিতে চেয়েছে পুতিনের দেশ। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
[৩] মস্কোর সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ভাদিম তারাসভের বক্তব্য, গ্যামেলিয়া একদিনে ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেনি। ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের দীর্ঘ গবেষণা রয়েছে। এই গবেষণার মজবুত ভিত রয়েছে। রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল ডিমিত্রেভ বলেছেন, কারণ এই টিকাতে যে ভাইরাল পার্টিকল ব্যবহার করা হয়েছে তাদের বিভাজিত হয়ে প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতা নেই। বরং এই টিকার ডোজে শরীরের বি-কোষ সক্রিয় করে রক্তরসে অ্যান্টিবডি তৈরি করবে, পাশাপাশি টি-কোষ সক্রিয করে শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম গড়ে তুলবে।
[৩] রাশিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি। সংস্থার ডিরেক্টর অলেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ বলেছেন, সরাসরি করোনার স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার না করে অন্য ভাইরাসের সঙ্গে আরএনএ প্রোটিন মিলিয়ে ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট ডিজাইন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :