শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ আগস্ট, ২০২০, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ১১ আগস্ট, ২০২০, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের জন্য হাহাকার

ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিমবঙ্গে এবার ইলিশ সঙ্কটের নেপথ্যে রয়েছে প্রতিকূল বাতাস, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও দীর্ঘদিন ধরে নদীবক্ষে জমে থাকা পলি। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।

বর্ষা শেষের পথে। কিন্তু এখনও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির পাতে ইলিশ সহজলভ্য নয়। বাজারে দেখাও মিলছে না জলজ রুপোলি শস্যের। হাতেগোনা কিছু ইলিশ এলেও, দামের কারণে তাতে হাত দেওয়ার সাহস পাচ্ছেনা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনতা।

চলতি বছর লকডাউনের কল্যাণে নদীদূষণ কম ছিল। বিধিনিষেধের ফলে মাছ ধরাও ছিল বন্ধ। তাই বর্ষার শুরুতে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষ বেশ জোর দিয়েই দাবি করেছিলেন, এ বছর প্রচুর ইলিশ মিলবে। কিন্তু কই?‌ কোথায় গেল সব ইলিশ?‌

করুণ সুর রাজ্যটির মৎস্য দপ্তরের এক কর্মকর্তার কণ্ঠে। তিনি বলছিলেন, ''‌পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টন ইলিশ পাওয়া যায়।

সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যায় ২০১৬ সালে। বর্ষার সময় মাছ যখন প্রজননের তাগিদে সমুদ্র ছেড়ে উজানে নদীর দিকে যায়- তখনই ইলিশ মেলে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এ বছর হাতে এসেছে মাত্র ১০০ টন ইলিশ। যদিও বাংলাদেশে এবারও ইলিশ ভাল ধরা পড়ছে।''‌

পশ্চিমবঙ্গের এক মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা প্রদীপ চ্যাটার্জির অনুমান, ''‌এমনও হতে পারে, ভারতের নদীতে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে গতিপথ বদলে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে।''‌ এরই মধ্যে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করার সময় উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে ১২৬ কিলো পদ্মার ইলিশ বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। যার আনুমানিক বাজারদর ১১ লক্ষ টাকারও বেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ''প্রজননের স্বার্থে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন নদী–সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এবার লকডাউনের জেরে মার্চের শেষ থেকে বন্ধ ছিল মাছ ধরা। জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণও ভাল ছিল। আমরা ভেবেছিলাম এবার ঝাঁকে ঝাঁকে বড় ইলিশ পাওয়া যাবে। কিন্তু হাতে এল ছোট ছোট মাছ, যেগুলির ওজন এক কেজিরও কম।''‌

বিপরীত এ পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে প্রতিকূল বাতাস, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও দীর্ঘদিন ধরে নদীবক্ষে জমে থাকা পলি। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।

সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নদী–মৎস্য বিভাগের প্রাক্তন প্রধান তথা ইলিশ–বিশেষজ্ঞ উৎপল ভৌমিক বলেন, ''‌নদীগর্ভে ৮০–৯০ ফুট গভীরতা পেলেই স্রোতের অভিমুখে যেতে পারে ইলিশ। কিন্তু বছরের পর বছর পলি জমতে থাকায় পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ নদীর গভীরতা এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২০–৩০ ফুটে। বর্ষায় ভাল বৃষ্টিপাত হলে গভীরতা খুব বড়জোর ৫০–৬০ ফুট পর্যন্ত হয়। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয় না।''‌

তবে আশা ছাড়েননি শ্যামসুন্দর দাস। তাঁর বক্তব্য, ''‌তবে এখনও সময় আছে। কারণ, বাংলায় ইলিশ–মরশুম অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অগস্ট, সেপ্টেম্বরে যদি ভাল বৃষ্টিপাত হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির পাতে প্রিয় মাছ পড়ার একটা সম্ভাবনা থাকছেই।''‌

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়