ডেস্ক নিউজ : [২] সোমবার বেলা সোয়া দুইটায় তিনি কারা ফটকে পৌঁছালে সাদা পোশাকধারী লোকজন তাঁকে দ্রুত নম্বরবিহীন একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান। কারা ফটকে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি। সূত্র: প্রথম আলো, বিডি নিউজ
[৩] এর আগে বেলা ১১টায় সিফাতের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ।
[৪] গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে তিনি কক্সবাজার কারাগারে বন্দী আছেন।
[৫] আদালত প্রাঙ্গণে সিফাতের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা পুলিশের সাজানো মামলা থেকে সিফাতের মুক্তি এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবের কাছে হস্তান্তরের আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ পাঁচ হাজার টাকা জিম্মায় সিফাতকে জামিন দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবকে ন্যস্ত করেছেন। সিনহা হত্যা মামলার একমাত্র সাক্ষী সিফাতকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আইনি কোনো সমস্যা নেই।’
[৬] পরে সিফাতের মামা মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সিফাত আমার সঙ্গেই আছে।' কবে ঢাকায় ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, `কয়েক দিন দেরি হবে।'
[৭] গতকাল রোববার দুপুরে জামিন পান সিনহার দলে থাকা আরেক সদস্য শিপ্রা দেবনাথ। সিফাত ও শিপ্রা স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা, সিফাতসহ তিনজন কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :