শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪০ দুপুর
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১০:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সোমবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু

ওমর ফারুক: [২] রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস দশ দিন সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, বিক্রয় ও বাজারজাত করণ বন্ধ থাকার পর সোমবার মধ্য রাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ প্রক্রিয়া। তাই জাল, নৌকা ও যাবতীয় সরঞ্জামাদি সহ প্রস্তুতি নিয়ে নদীতে মাছ ধরার কাজে নেমে পড়েছে জেলেরা। মৎস্য আহরণে আবারো সরগরম হয়ে উঠবে এশিয়ার এই বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ।

[৩] প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় জাতের মাছের প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির জন্য রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ১মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই তিন মাস হ্রদে সকল প্রকার মাছ ধরা, বাজার জাত ও রপ্তানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই সময়ে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে রুই কার্প ও মৃগেল জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে।

[৪] বিএফডিসি লংগদু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকবর হোসেন জানান, সোমবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। নিবন্ধিত মৎস্যজীবিরা আবার ব্যস্ত হবেন মাছর আহরণের কাজে। ১আগস্ট হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা থাকলেও এবার বৃষ্ঠিপাত কম হওয়ায় কারণে সময়মত কাপ্তাই হ্রদের পানি পরিমাপ মোতাবেক হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞা সময় আরো দশ দিন বাড়ানো হয়েছিল। তিনি আরো জানান, তিন মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকাকালীন সময়ে সরকার নিবন্ধিত জেলেদের মৎস্য ভিজিএফ খাদ্য শস্য সহায়তা দিয়ে থাকে। যাতে এসময় মৎস্যজীবিরা তাদের পরিবারে খাদ্যাভাব দেখা না দেয়।

[৫] কাপ্তাই হ্রদের সিংহভাগ মাছ আহরণ হয় লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিল থেকে। এখানকার উৎপাদিত মাছ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাঙামাটি জেলা শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী হয়ে থাকে। এর ফলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করে থাকে।

[৬] আব্দুর রহিম নামের এক জেলে জানায়, প্রতি বছরের মতো এবারো প্রায় ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ করেছে সরকার। তাই মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু অন্যান্য বছর গুলোতে সঞ্চিত টাকা দিয়ে অথবা অন্য কোন কাজ করে সংসার-পরিবার চালানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এবার করোনার কারণে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঈদ-উৎসবে স্বাভাবিক দিন কাটাতে পারি নাই। অনেক ধার দেনা করে জাল-নৌকা ঠিক করে নদীতে এসেছি মাছ ধরার জন্য।

[৭] অন্যদিকে সচেতন মহল জানায়, নিষিদ্ধ ৩ মাসের মধ্যে ২০-২৫ দিন আগে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিল। যথা সময়ে হ্রদের পানি বৃদ্ধি না হওয়ায় এই পোনা মাছগুলো হ্রদের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেতে পারেনি। মাছ ধরা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় জেলেদের জালে পোনাগুলো ধরা পড়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়