শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১০ আগস্ট, ২০২০, ০২:২১ রাত
আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২০, ০২:২১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেজর সিনহার সঙ্গী সিফাতের মুখে ঘটনার বর্ণনা (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট: টেকনাফে সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। পুলিশের সঙ্গে সেদিন কী ঘটেছিল সেই বর্ণনা দিয়েছেন সিফাত।

রোববার (০৯ জুলাই) গো জাস্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে সিফাতের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে সে দিন রাতে পাহাড়ে কী ঘটেছিল তা বর্ণনা করেছেন সিফাত।

ওই ভিডিওতে দেখে গেছে, সিফাতকে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করছেন, কী ঘটে ছিল সেই রাতে?। সিফাতও কান্না জড়িত কণ্ঠে এর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

সিফাতের পুরো বক্তব্যে লিখিত আকারে তুলে ধরা হল-

‘রেস্ট হাউস থেকে আমরা রওয়া দেই বিকেল সাড়ে ৩ থেকে ৪টার দিকে। পরে চেকপোস্টে আমাদের পৌঁছাতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। ওই সময় মেজর সিনহা নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিলে আমাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সময় সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে আমরা পাহাড়ের দিকে যাই। পরে পাহাড় থেকে নামার সময় দেখি দুইজন পুলিশ সদস্য খুবই মারমুখী ভাবে আমাদের দিকে আসে। সন্ধ্যার পর হওয়ায় আমাদের চোখের দিকে তারা লাইট মারে। এবং আমরা বলি চোখে লাইট মারেন কেন? এখানে আসেন। এবং মেজর সিনহার সামনে এসেই তারা অকথ্য বাসায় গালিগালাজ করে।’

সিফাত বলেন, ‘পরে কোনো প্রতিবাদ না করেই গাড়িতে উঠে আমরা রওয়ানা দেই। সেখান থেকে আসার সময় প্রথম চেকপোস্টে বিজিবিকে মেজর পরিচয় দিলে আমাদের ছেড়ে দেয়। পরে সেখান থেকে আসার সময় দ্বিতীয় চেকপোস্টে আমাদের আটকে দেয় পুলিশ। সিনহার নিজের পরিচয় দেয়ার পরও গাড়ি থেকে নামতে বলে। গাড়ি থেকে নামলেই দুইজন সিনহাকে জেরা করতে থাকে। পরে আরেকজন আসে আবারও জেরা করতে থাকে...”

ভিডিওটিতে সিফাত এ পর্যন্ত বলার পর সেটি শেষ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কী ঘটেছিল তা আর উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে আছেন। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জনকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। ৫ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয় প্রদীপ কুমার দাশকে।

এর ঘটনার বিচার চেয়ে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি গ্রহণ করেন। তিনি এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে সাতদিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো. মোস্তফাকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফে পুলিশ চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করা হয়। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। আর বিশ্ববিদ্যালটির একই বিভাগের ছাত্রী শিপ্রা হিমছড়ির একটি রিসোর্টে ছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগে মামলা দেয় পুলিশ। আর সিফাতের বিরুদ্ধে করা হয় হত্যা ও মাদক মামলা। সূত্র: সময় টেলিভিশন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়