রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাটের মোহড়া শিল্প এলাকায় অবস্থিত একটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অবৈধভাবে ও অস্বাস্থ্যকরভাবে ভোজ্য তেল বোতলজাত করে বাজারজাত করনের দায়ে দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড ও কারখানা সিলগালা করা হয়।
[৩] রোববার (৯ আগস্ট) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে 'সাকসেস অয়েল ইনডাস্ট্রিজ লিমিটেড' নামের কারখানায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কারখানা মালিক মোঃ গোলজার হোসেন কে দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পাশাপাশি কারখানাটি সিলগালা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় কারখানাটি কোন নিয়ম না মেনে অস্বাস্থ্যকরভাবে ভোজ্য তেল বোতলজাত করে বাজারজাত করে আসছে।প্লাস্টিক বোতল ৪০০ গ্রামের হলেও মোড়কে লেখা ৫০০ গ্রাম । পরিমাণে প্রত্যেক প্রকারের বোতলেই দেখা যায় গায়ে লেখা পরিমানের চেয়ে কম তেল যা এক ধরণের প্রতারণা।
[৪] তিনি আরও বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই, উপযুক্ত ল্যাব নেই, কেমিস্ট নেই, নষ্ট মেশিনারীজ, ক্লিনিং রুম না থাকা, ভেজাল তেল পাওয়া, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ লেখা যা পরিক্ষীত নয়, শিশু শ্রমিক নিয়োগ সহ অনেক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া লোগো ব্যবহার করে কারখানাটি গৃহিনী ও নবান্ন নামে বোতলজাত করে তেল বাজারজাত করে আসছে।নবান্ন নামের মোড়ক হুবহু রুপচাঁদা সয়াবিন তেলের নকল।
[৫] এমনকি এস আলম এডিবল অয়েল ও পতেংগার ভিওটিটি অয়েল কোম্পানির তেল নিজেদের নামে বাজারজাত করে আসছে যদিও নিজেদের মধ্যে কোন চুক্তি নেই। অভিযানে আরও ছিলেন র্যাবের মেজর শামীম সরকার, সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার, বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার রাজীব দাশ গুপ্ত ও স্যানিটারি অফিসার ইয়াসিন আহম্মেদ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ