সুজন কৈরী : [২] বকেয়া টাকা পরিশোধ না করার ক্ষোভ থেকেই রাজধানীর ভাটারায় সজীব বিল্ডার্সের মালিক আবুল খায়েরকে হত্যা করেন তারই স্ত্রীর বড় ভাই মিলন।
[৩] শনিবার রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[৪] রোববার নিজ কার্যালয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, মিলন একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এরপর তিনি পালিয়ে যান চাঁদপুর। শনিবার তিনি আবারও ঢাকায় আসেন। তখন ঢাকাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিলন পেশায় রাজমিস্ত্রি।
[৫] তিনি বলেন, মিলন ও নিহত খায়ের ১৯৯৩ সাল থেকে একসঙ্গে আবাসন ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু আবুল খায়ের নিজে অনেক টাকার মালিক বনে গেলেও মিলনকে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে যেতে হয়। এছাড়া খায়েরের কাছে মিলনের ৮ লাখ টাকা পাওনা ছিলো। টাকা চাইলে আবুল খায়ের তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও তার বোন রূপালী আক্তারকে নির্যাতন করতেন বলে জানিয়েছেন মিলন। সমন্ধি হয়েও শ্রমিকের চোখে দেখা ও পাওনা টাকা না দেয়া এবং বোনকে নির্যাতনের বিষয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন।
[৬] পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে শুরুতেই মিলনকে সন্দেহ করা হয়। কারণ খায়েরকে যে ফোন নম্বর থেকে ফোন করে ডেকে নেয়া হয়, সেটি ছিল মিলনের। জিজ্ঞাসাবাদে মিলন দাবি করেছেন, হত্যার পরিকল্পনা তার ছিল না। লেনদেনের বিষয়টির মিমাংসার উদ্দেশ্যে খায়েরকে বসুন্ধরা এন ব্লকের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ডেকে নেন। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা রড দিয়ে খায়েরের মাথায় আঘাত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :