ইসমাঈল ইমু : [২] রোববার লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। এ সময় চট্টগ্রাম নৌঅঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম মাহ্বুব-উল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। অন্যান্যদের মধ্যে নৌবাহিনীর পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, জাহাজে যাওয়া কর্মকর্তা ও নাবিকদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
[৩] জাতিসংঘের আওতায় মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে ভূ-মধ্যসাগরে ইউনাইটেড ন্যাশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন বর্তমানে বানৌজা বিজয় দায়িত্বরত রয়েছে। জাহাজটি দীর্ঘ ২ বছর ৮ মাস সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে বানৌজা সংগ্রাম’কে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
[৪] নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ সংগ্রামের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন ফয়সাল মোহাম্মদ আরিফুর রহমান ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে সর্বমোট ১৫ জন কর্মকর্তা এবং ৯৫ জন নাবিক শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে লেবাননের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বানৌজা বিজয়কে প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বানৌজা সংগ্রামকে কমিশনিং করেন।
[৫] ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে নৌবাহিনী জাহাজ।
[৬] পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় উক্ত জাহাজ মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের উপর গোয়েন্দা নজরদারী, দূর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :