আরিফুল ইসলাম : [২] প্রথমে মোবাইলে প্রেম ভালোবাসা পরে বিয়ে, অতঃপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ হলো নাসরিন আক্তার পিংকি নামে এক যুবতী।
[৩] রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটেছে।
[৪] বর্তমানে পিংকির লাশ এবং নিহত পিংকির প্রেমিক স্বামী মোক্তার হোসেন সরাইল থানাপুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মোক্তার হোসেন সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউপির বেপারিপাড়ার নছর আলী বেপারির ছেলে এবং নাসরিন আক্তার পিংকি হবিগঞ্জ জেলা সদরের বনগাঁও এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে।
[৫] হাসপাতালে নববধূ'র লাশের পাশে থাকা অবস্থায় স্বামী মোক্তার বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী রয়েছে। প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে ক'মাস আগে মোবাইলে পিংকির সঙ্গে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলি। এরইমধ্যে পিংকির পরিবার অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করেন। শনিবার (৮ আগস্ট) ছিল পিংকির গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠান। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ গিয়ে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে এসে আমরা দু'জনে বিয়ে করি এবং সরাইল সদরের বড্ডাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসাতে এনে রাখি। রাত্রিযাপনের পর সকালে পিংকিকে নিয়ে আমার পৈতৃক বাড়িতে যাই এবং সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেই। এসময়ে আমার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেও পিংকির দেখা হয়। কিছু সময় পর আমি আর পিংকি বড্ডাপাড়ায় বাসাতে চলে আসি। তাকে বাসায় রেখে বাইরে থেকে ঘুরে এসে দেখি পিংকি লাশ হয়ে পড়ে আছে, নড়াচড়া করছে না। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পিংকিকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৬] এদিকে পিংকির লাশ হাসপাতালে রেখে মোক্তার হোসেনের স্বজনরা পালিয়ে গেলেও মোক্তার পিংকির লাশের পাশেই বসে ছিলেন। পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
[৭] সরাইল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পিংকির মৃত্যু কি কারণে হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :