শরীফ শাওন : [২] বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) এ দেয়া প্রস্তাবে বলা হয়, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঠদান চালু রাখা গেলেও নির্ধারিত সময়ের আগে পাঠ্যসূচি সমাপ্ত করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সংকুচিত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।
[৩] ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া প্রস্তাবনার দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, ডিসেম্বরে শুধু বহু নির্বাচনী প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এক ঘন্টায় ৫০ নম্বরের পরীক্ষার ব্যবস্থা হতে পারে।
[৪] তৃতীয়ত, পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমানো যেতে পারে। যেমন, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা চালুর আগে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষায় কেবল বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা হতো।
[৫] চতুর্থ, অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সকল বোর্ডের পরীক্ষা ব্যবস্থা। এতে প্রশ্নপত্র ছাপানোর সময় কমবে, ফলাফলেও সাম্যতা আসবে।
[৬] পঞ্চম, সংকুচিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচির ওপর বিদ্যালয়কেন্দ্রীক পরীক্ষা গ্রহণ। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার ফল শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠাতে হবে। নভেম্বর থেকে এম মাস কোভিড মহামারি নিয়ন্ত্রণে থাকলে এ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
[৭] ষষ্ঠ, চলতি বছর মহামারি পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পাঠদান ব্যহত হলে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা যেতে পারে। শিক্ষাবর্ষকে বাতিল না করে অবশিষ্ট পাঠদান পরবর্তী শ্রেণিতে সমন্বয় করা যেতে পারে।
[৮] ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বেডু জানায়, মাহামরি পরিস্থিতিতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮৪টি দেশ পাবলিক বা এ ধরনের পরীক্ষা হয় বাতিল নয়তো স্থগিত করেছে।
[৯] মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সব দিক বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :