মঈন উদ্দীন : [২] ফি দিয়ে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা শুরুর পর থেকেই পরীক্ষার চাপ কমেছে। এছাড়াও রাজশাহীর মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষার আগ্রহ কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে রাজশাহীর উপজেলাগুলোতে কোন কোন দিন একজনেরও নমুনা পাওয়া যায়নি। মুলত ঈদের পর সেই তালিকা আরও ছোট হয়েছে। দিন দিনে কমেছে উপজেলার সংগ্রহ। তবে ল্যাব কর্তৃপক্ষ বলছে এগুলো টাকার জন্য নয়। বরং সামাজিক নেতিবাচক ভাবনার করেণেই এটি কমে এসেছে।
[৩] রাজশাহী জেলা প্রশাসক অফিসের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, জেলায় ৬ আগষ্ট পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৬৬২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৯ হাজার ৫৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে সেই তুলনায় রাজশাহীর ৯ উপজেলাতে সংগ্রহ করা হয় ৫ হাজার ৮১ জনের।
[৪] জেলার ৯টি উপজেলায় গত ২০ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ১১ দিনে মোট ২ হাজার ৮৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সংগ্রহ করা হয় ২ হাজার ১০৫ জনের। কিন্তু উপজেলাগুলোতে সংগ্রহ করা হয় মাত্র ৭৩১টি নমুনা। ঈদের পর আরও কমে এসেছে সেই তালিকা। ঈদের পর গত ৩, ৪ ও ৫ আগস্ট তিন দিনে সংগ্রহ হয় মাত্র ৪০টি নমুনা। তবে, ৬ আগস্ট নয় উপজেলায় ১১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঈদের পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সংগ্রহ করা হয় ৪৩৯ জনের নমুনা।
[৫] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এতদিন কোভিড-১৯ নমুনা দেয়ার জন্য হাসপাতালের কোভিড-১৯ ইউনিটগুলোতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়তো। প্রয়োজন ছাড়াও একাধিকবার অনেকে নমুনা দিয়েছেন। কিন্তু ফি দিয়ে নমুনা সংগ্রহের পর থেকে অনেকটা চাপ কমে গেছে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :