আরিফ জেবতিক: আমরা একটা ফালতু জিনিস প্রমোট করার চেষ্টা করি যে, এই রাষ্ট্র ও এই সরকার আসলে দুর্নীতিপরায়ন না, এখানে ‘কিছু কিছু দুর্নীতিপরায়ন মানুষ’ আছে। আসলে ঘটনাটা ঠিক উল্টো। রাষ্ট্র ও সরকারই দুর্নীতির বড় ম্যাকানিজম, এখানে আপনি ভালো কিছু করতে গেলে টিকে থাকতে পারবেন না। মাহবুব কবির মিলন সাহেবকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। কিন্তু কাজ করার প্রতি, সিস্টেম ঠিক করার প্রতি উনার যে প্যাশন, সেটা চোখে পড়ার মতো। উনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে একটা ত্রাস তৈরি করেছিলেন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টকে নিরাপদ খাদ্য তৈরিতে উৎসাহিত করা, সে অনুযায়ী তাদেরকে রেটিং দেয়া, খারাপগুলোকে শাস্তি দেয়া এগুলোতে তিনি সাহসের সঙ্গে কাজ করছিলেন। মেয়াদউত্তীর্ণ কিংবা সন্দেহজনক এমন কোটি কোটি টাকার খাদ্য উনি বন্দরে আটকে দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। সেখানে টিকতে পারলেন না। সম্প্রতি যোগ দিয়েছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে।
রেল উনার প্যাশনের জায়গা। টিকিট কালোবাজারি বন্ধে অনেক কাজ করেছেন। সব কাজ যে সফল হচ্ছেন তা নয়, কিন্তু ভুলত্রুটি করে করেই তো এগোচ্ছিলেন। গত সপ্তাহে আগ বাড়িয়ে বিকাশের সঙ্গে একটা কাজ করেছেন, তাদের অ্যাপ ঠিক করতে পরামর্শ দিয়েছেন। এখন থেকে যে মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট সেই মোবাইল ফোন ছাড়া অন্য মোবাইল থেকে ওই একাউন্টে এক্সেস করা যাবে না। আর ‘বিকাশ থেকে নাহিদ বলছি’ বলে পাসওয়ার্ড নিয়ে মানুষের একাউন্টের টাকা ডাকাতি করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন উনি খুব সহজেই, একটু উদ্যম নিয়েই। যদিও এটা উনার দায়িত্বের মধ্যেই ছিল না তবু মানুষের কল্যাণে এই কাজটি করেছেন। এতো কাজের পুরস্কার হিসেবে উনাকে ওএসডি করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে তার চোরবাটপার তোষণের নীতিতেই অটল আছে। এখন শুধু চাটা পার্টি এসে বলবে, ‘ভুল বুঝানো হয়েছে ভাইয়া’। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :