নিশাত বিজয় : ভূমি পূজার মাধ্যমে বিশ্বের একসময়ের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক ও সুসংগঠিত ধর্মনিরেপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতে বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হলো, কিছুদিন আগে আরব বিশ্বের সবচেয়ে ধর্মনিরেপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কে গির্জায় জায়গায় মসজিদে নামাজ শুরু করলো। এটাতে কি আল্লাহ, গড কিংবা ব্রহ্মা কেউ কি খুশি হয়? প্রাচীন কিংবা মধ্যযুগে শক্তি প্রদশর্নের জন্যে যে ধর্মের রাজা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতো তারা অন্যের গির্জা, মসজিদ, মন্দির দখল করে নিজের ধর্মের উপসানালয় চালু করতো রাজার ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যে। পুরো পৃথিবীটাই বিধাতার ধর্মমতে, তাহলে এরা কেন অন্যের ধর্মালয় দখল করে এই গণতান্ত্রিক যুগে?
এই যে গণতান্ত্রিক যুগে মধ্যযুগীয় বর্বরতা ভারত, তুরস্ক দেখালো সেটাতে কি আল্লা, ভগবান, গড খুশি না রুষ্ট সেটা কেউ জানেওনি, আর জানবেও না। শুধু মোদী ও এরদোয়ানের ধর্মীয় ভোট রাজনীতির জন্যে এই দখল ও নবনির্মাণের ফলে কেবল একটি জিনিসই হবে সেটা হলো বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ভেতরে অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা তৈরি হবে এবং সংঘাত জিইয়ে থাকবে। এই সংঘাত জিইয়ে থাকার ফলে বিশ্বের যে ১৫০ কোটি মানুষ অনাহারে থাকে এবং অনাহারেই শিশু থেকে বৃদ্ধ মারা যায়, তারা মারা যেতে থাকবে, বিধাতা নিজেই নির্দয়, তা না হলে এই মসজিদ, মন্দির, গির্জা নিয়ে যে এতো সংঘাত, অর্থ ব্যয় তার মাত্র ১ শতাংশ দিয়েই সারাবিশ্বের দ্রারিদ্র দূর করা যেতো, বিধাতা তুমি এদের সুমতি দাও, তোমার শক্তির নমুনা দেখাও। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :