সোহেল রানা: [২] মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার কুমড়াকাপন গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে কাবিনের টাকার অংক নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে হাতুড়ি ও ছোরা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন ২ জন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এ ঘটনাটি ঘটে।
[৩] কুমড়াকাপন গ্রামের হুমায়ূন মিয়া বলেন, তার মেয়ের বিয়ে ছিল বৃহস্পতিবার। এবিয়ের কাবিনের টাকার অংক নিয়ে পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিতের সাথে বিরোধ বাঁধে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি স্থান ত্যাগ করে তার ভাইদের খবর দিলে মুহূর্তের মধ্যেই তার ছোট ভাই গোলাম রব্বানী তৈমুর একটি হাতুড়িসহ সংগীয় লোকজন নিয়ে এসে কনে পক্ষের ব্যক্তি স্থানীয় ব্যবসায়ী আনহার আলীর মাথায় আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত জখম করেন। জবাবে আহত ব্যবসায়ী আনহার আলী ছেলে অপু ছোড়া দিয়ে কুপিয়ে গোলাম রব্বানী তৈমুরকে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্দ লোকজন এসে আহত ব্যবসায়ী আনহার আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল ছোড়ে ও তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহত আনহার আলী নিজ বাসায় প্রাথমিক সেবা গ্রহন করেন আর অন্যদিকে আহত গোলাম রব্বানী তৈমুর কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক সিকিৎসা সেবা গ্রহন করেন।
[৪] আহত আনহার আলী বলেন, হুমায়ূন মিয়া এক সময় তার দোকানের কর্মচারী ছিলেন বলে তিনি তার মেয়ের বিয়ের কাবিনসহ সব কাজে সহায়তা করছিলেন। এখানে নিজ থেকেই এসে পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিত বিয়ের কাবিনের টাকার অংক নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে পরে তার ভাই গোলাম রব্বানী তৈমুরকে ফোন করে আনেন। গোলাম রব্বানী তৈমুর কোন কিছু না জেনেই হাতের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন।
[৫] গোলাম রব্বানী তৈমুর অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ী আনহার আলীর ছেলে ও আত্মীয় স্বজনদের কয়েকজন সব সময় ভানুগাছ বাজারে ঝামেলার সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার তারা তার বড় ভাই পৌর কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিততে আটকিয়ে নাজেহাল করেছে। এ বিষয়টি জানতে তিনি আসলে পরে আনহার আলীর ছেলে অপু হাতে থাকা ছোরা দিয়ে পিটে কুপিয়ে তাকে আহত করেছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় তার ৬টি সেলাই দিতে হয়েছে।
[৬] কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আরিফুর রহমান বলেন,একটি বিয়ের বাড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে হারকা সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি পুলিশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি মনে করছেন উভয় পক্ষ সামাজিকভাবে বসে এ সমস্যার সমাধান করে নিবে।
আপনার মতামত লিখুন :