সুজিৎ নন্দী : [২] ১০ তলা পর্যন্ত ভবনে বাধ্যতামূলকভাবে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা (অ্যালার্ম) থাকার যে নিয়ম রয়েছে, নতুন বিধিমালায় তা আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। রাজউক বলছে, হাতে চালিত ঘণ্টি বাজাতে পারবেন ভবন তত্ত্বাবধায়কেরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বলছে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা থাকতে হবে।
[৩] তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ৭ তলার ওপরে ভবন করতে গেলে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা (অ্যালার্ম) বাধ্যতা মূলক রাখতে হবে। এর পাশাপাশি বিধিমালায় পানি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, হাইরাইজ ভবনের ডেফিনেশন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২৩ মিটার, আমাদের দেশে ২০ মিটার এবং ভারতে ১৫ মিটার।
[৪] গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদউল্লাহ খন্দকার অবশ্য জানান, যেখানে জলাধার রাখা প্রয়োজন সেখানে জলাধারই রাখতে হবে, সেখানে শুধু অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রেখে নকশা অনুমোদন করানো যাবে না। আপাতত এই নীতিমালা কার্যকর করার পরিকল্পনা আছে, পরে সংস্কার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, যারা বহুতল ভবনের নকশার অনুমোদন দেবেন, তাদের অবশ্যই ভবনের নকশা অনুযায়ী কী ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাা থাকতে হবে, তা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
[৫] রাজউকের চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম বলেন, এখনো বিষয়টি চ’ড়ান্ত হয়নি। তবে আমাদের কাছে আসলে মতামত জানাবো। ৩৩ মিটারের পরে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা (অ্যালার্ম) লাগানোর বিষয়টি বলা হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোর্ডে (বিএনডিসি)। আমরা ৭ তলাকেই হাইরাইজ বলে থাকি। এখানে শিথিলতার কোন বিষয় নেই।
[৬] তবে নতুন বিধিমালায় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৮০ মিটার উঁচু (২৪ তলা) বাণিজ্যিক ভবনেও বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র (পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইশার) অথবা হাইড্রেন্ট (যা থেকে জরুরি পানি সরবরাহ করা যায়) ব্যবহার করলেই চলবে বলা হচ্ছে।
[৭] যদিও এর একটি আরেকটির বিকল্প হতে পারে না। এটি নিয়েও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভিন্নমত পোষণ করছে। একাধিক সূত্র জানান, বিধিমালার খসড়াটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিধিমালাটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে (আইনি যাচাই-বাছাই) রয়েছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :