কাওসার হামিদ, তালতলী প্রতিনিধি : [২] তালতলী উপজেলার ৬ নং নিশান বাড়ীয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খোট্টার চরবাসীর করুন অবস্থা। উপজেলা তালতলী সদরের পশ্চিম পার্শে অবস্থিত খোট্টার চর, এখানে প্রায় হাজার খানিক পরিবারের বসবাস। তালতলী পায়রানদীর নিকটবর্তী হওয়ায় এবং বেরিবাদ না থাকায় নদী থেকে জোয়ারের পানি এসে প্রায় সময়ই তলিয়ে যায় বসতবাড়ী রাস্তা ঘাট এবং পুকুর ।
[৩] খোট্টারচরবাসীর এরকম দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। জোয়ারের পানির সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয় উপজেলার খোট্টারচর বাসীর। এলাকাবাসীর দাবী নদীর পাড় দিয়ে উচু বেরিবাদ দিলে এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন তারা।
[৪] স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ দুলাল গাজী বলেন, বিগত বিশ বছর যাবত পানিতে ভাসছি আমাদের দেখার কেউ নাই। মো. ছগির হোসেন, মোঃ আল আমিন, আরো বলেন আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের আয়রোজগার করে খেতে হয়। তার মধ্যে আবার প্রায়সমই জলোচ্ছ্বাসের পানির থাবায় তলিয়ে যায় বসতভিটা পুকুর এবং গাছপালা ইত্যাদি । পুকুরে কিছু মাছ চাষকরেও খেতে পারি না, তা বন্যার পানিতে তলিয়ে জায় এবং বাড়িঘর নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক শরিরের ঠান্ডা লেগে জরজারি হয় কিনা। আমরা খুব বিপদের মধ্যে আছি আমাদের আয়রোজগারের পথও বন্ধ। আমরা খুব অসহায়ের মধ্যে দিন যাপনকরছি তাই আমাদের দাবি নদীর পাড় দিয়ে একটা উচু বেরিবাধ দিলে হয়তো একটা বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারি ।
[৫] স্থানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল ফরাজী বলেন, বেরিবাদের বিষয়টি বার্ষিক মিটিংএ আলোচনা করা হয়েছে এবং যাথাযথ ব্যবস্তা নেয়া হবে।
[৬] ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, খোট্টারচরের লোকজনের সুবিধার্থে বেরিবাধ অতি জরুরি। প্রধানমন্ত্রী কাছে এলাকায় একটি বেরিবাধ করার অনুরোধ রইলো। সম্পাদনা : হ্যাপি