আসাদুজ্জামান বাবুল: [২] গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমেটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর এমবি ক্যানেল রুট নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৩] গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য এ তথ্য নিশ্চিত করে আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জ নড়াইল বাগেরহাট পিরোজপুর ও মাদারীপুর জেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে দুটি নদীতে পানি বেড়েছে ঠিকই তবে নদীর পানি এখোনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৪] গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, গোপালগঞ্জে নদীর পানিসীমা এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, নদীর পানি বেড়েছে।জোয়ারের সময় নদীর বেড়ে যাওয়া পানি বিভিন্ন খাল-বিলের মাধ্যমে জেলার মুকসুদপুর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া, টুঙ্গিপাড়া ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম-পাড়া-মহল্লার নিন্মাঞ্চল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি সরতে না পারায় মানুষজন কিছুটা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। কিন্ত তারমানে এই নয় যে জেলার ৫টি উপজেলার কোথাও বন্যা হয়েছে।
[৫] পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এমন কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে সুধু গোপালগঞ্জের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তা কিন্ত নয়, গোটা দেশের সকল নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।এদিকে সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের উলপুর গ্রামের এম এম জাহিদুল ইসলাম আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, উলপুর ইউনিয়নের রাউৎখামার, পারকুল, সোয়ানী পাড়া, দোয়ানীপাড়া, সিকি পাড়া, আন্দার কোটা, এবং ০৫ নং ওয়ার্ডের অংশ বিশেষ, অনেক মানুষের পুকুর, মাছের ঘেরসহ অনেক বাড়ী ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
[৬] মধুমতি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারের সময় ওই পানি বিভিন্ন খাল বিলের মাধ্যমে ঢুকে কোটালীপাড়ার নানান এলাকার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে সরেজমিন পরিদশনকালে দেখা গেছে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের রাম নগর, বৈকন্ঠপুর, কাফুলাবাড়ী, কলাবাড়ী, রুথীয়ারপাড়, মাছপাড়া, পশ্চিম মাছপাড়া, নলুয়া, কুমুরিয়া, শিমুলবাড়ি ও বুরুয়া গ্রামের নিন্মাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি না উঠায় এলাকার সকল রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :